নওগাঁ উত্তরা অঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় হঠাৎ হিমেল হাওয়ায় হাড়কাঁপানো শীতে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রায় এক সপ্তাহ তেমন ঠান্ডা অনুভূত হয়নি তেমন কাঁপেনি শরীর। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর হঠাৎ হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুল নওগাঁয়। তাপমাত্রার পরিমাণ কম না থাকা সত্ত্বেও ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থা মানুষের বছরের শেষ দিনে রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আকাশ। তার সাথে বইছে হিমেল বাতাস। অবশ্য সময় গড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে, থাকছে মেঘলা আকাশ, বইছে হিমেল বাতাস।-এদিন উত্তরের এ জেলার মহাদেবপুর পত্নীতলা ধামইরহাট শাপাহার নিয়ামতপুর মান্দা রানীনগর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১১) দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।( ১৩). দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সকালে বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়্যারলেস সুপার ভাইজার প্রদীপ কান্তি রায় মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রদীপ কান্তি রায় বলেন, মাঝে মাঝে কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হয়ে থাকে। এর ফলে তাপমাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও শৈত্য প্রবাহের কারণে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামীদিন আবহাওয়ার তাপমাত্রা তেমন পরিবর্তন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তরের এ জেলায় শৈত্য প্রবাহ হবে।উল্লেখ, গত মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। যা দেশের এই মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।অপরদিকে ঠান্ডা বাতাসে চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে-খাওয়া দিনমজুর মানুষরা। গরম কাপড়ের অভাবে বাহিরে বের হয়ে কাজ করা কঠিন হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে অসহায়, হতদরিদ্র, ছিন্নমূল মানুষেরা আছে চরম বেকায়দায়। তবুও খেটে-খাওয়া ও দিনমজুররা পেটের তাগিদে বের হয়ে মাঠ-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে বের হচ্ছেন। প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন তারা। তাই শীতের এই মৌসুম জুড়ে নওগাঁ ও তার আশেপাশে ঠান্ডা বাতাস বিহীন থাকুক এমনই প্রত্যাশা ওই সকল খেটে খাওয়া মানুষদের।