কিশোরীকে গণ-ধর্ষণের ঘটনায় নওগাঁয় র্যাবের অভিযানে এক যুবক আটক। বৃহস্পতিবার র্যাবের একটি চৌকস অভিযান দল নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গন-ধর্ষণের ঘটনায় শান্ত (৩০) নামে যুবক কে আটক করেন। আটককৃত যুবক শান্ত হলেন, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের শাসুল হক এর ছেলে।র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার মোঃরফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার দূর্গাপুর এলাকা থেকে গণধর্ষণ মামলার আসামী শান্ত কে আটক করা হয়। র্যাব আরো জানায়, গত ২ আগস্ট বিকাল ৪ ঘটিকায় ধর্ষক হাসনাইন হোসেন ওরফে তমাল (ভিকটিম) ১৩ বছর বয়সি কিশোরী কে দেখা করার কথা বলে হিলি থেকে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পাঁচবিবি পার্কে দেখা করতে নিয়ে আসেন। এরপর হাসনাইন হোসেন ওরফে তমাল, বায়জিদ ও অজ্ঞাত কয়েক জন সহযোগী সন্ধায় পাঁচবিবি থানাধীন নওদাপাড়া গ্রামস্থ নির্জন এক বাড়িতে (ভিকটিম) কিশোরীকে নিয়ে রাতে তমাল (ভিকটিম) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন এক পর্যায়ে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং সকালে জ্ঞান ফিরলে আসামীরা তাকে গাড়িতে উঠিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে পৌছার পর কিশোরী ঘটনাটি গিয়ে তার পরিবারকে জানালে এঘটনায় গত ৬ আগষ্ট পাঁচবিবি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করে।
মামলার পর থেকেই র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্প তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী তমাল ও বায়জিদ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আসামীদের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী হাসনাইন হোসেন ওরফে তমাল জানায়, প্রথমে সে নিজে জোর পূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে বায়জিদ এবং শান্ত নামে আরো ২ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন যা ভিকটিম অজ্ঞান থাকায় বুঝতে পারেনি। র্যাব আরো জানান, ভিকটিম অজ্ঞান থাকায় প্রথম ধর্ষক তমালকে ১ নং আসামী করে মামলা হয়।
যেহেতু জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আরো ২ জন ধর্ষণের সাথে জড়ীত তাই পরবর্তীতে মামলাটি গণধর্ষণের মামলায় রুপান্তরিত হলে তদন্তে প্রাপ্ত ধর্ষক শান্তকে নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।