২৭ ডিসেম্বর সফলতার ১৯ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি সংস্কৃতি লালনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয় বৈশাখী টেলিভিশনের। নতুন বছরে পা রাখার গৌরবময় সময়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখীর পর্দা সাজানো হয়েছে গান,নাটকসহ নানা অনুষ্ঠান দিয়ে। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ‘১৯ বছরে বৈশাখী’শিরোনামে সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে থাকছে দেশের স্বনামখ্যাত রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের গুণী ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা বক্তব্য।
প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় সরাসরি বৈশাখীর সংগীতানুষ্ঠান ‘১৯ বছরে বৈশাখী’ প্রচার হবে ১০টি সেগমেন্টে। প্রথম সেগমেন্ট শুরু হবে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। তমা রসিদের উপস্থাপনায় দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করবেন শবনম প্রিয়াংকা ও তিমির নন্দী। সকাল ৯.১৫ মিনিটে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেগমেন্টে রবীন্দ্র ও নজরুল গান গাইবেন দেবলিনা সুর ও ইউসুফ আহমেদ খান। সকাল ১০.১৫ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন চম্পা বনিক ও আতিয়া আনিসা, বেলা ১১.১০ মিনিটে গাইবেন রাজীব ও প্রিয়াংকা বিশ্বাস। তাসনুভা মোহনার উপস্থাপনায় দুপুর ১২.১০ মিনিটে আধুনিক গান গাইবেন সাব্বির ও ইয়াসমিন লাবন্য। দুপুর ১.১০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন গামছা পলাশ ও দিপা। দুপুর ২.৫০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন অনন্যা আচার্য্য ও কানিজ খন্দকার মিতু। বিকাল ৪.১৫ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন কামরুজ্জামান রাব্বি ও সানজিদা রিমি। ইশরাত জাহান জুঁইয়ের উপস্থাপনায় সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করবেন বিন্দু কনা ও তার দল। রাত ৮.০০ টায় ফোক গানে অংশ নেবেন সালমা ও তার দল।
সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও প্রচার হবে দু’টি একক নাটক। রাত ৯.০০টায় প্রচার হবে জুয়েল এ্যালিনের রচনা ও জাকিউল রিপনের পরিচালনায় ‘হকার ভাই’। এতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। রাত ১০.০০টায় প্রচার হবে ইমরাউল রাফাতের রচনা ও পরিচালনায় ‘২০০ কোটি টাকা’। এতে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর, সামিরা খান মাহি প্রমুখ। রাত ১.০৫ মিনিটে প্রচার হবে বাংলা সিনেমা ‘দুশমন দরদী’। এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, পূর্ণিমা, ডিপজল প্রমুখ।
১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বৈশাখী টেলিভিশনের উপ—ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, আমাদের জন্য এদিনটি বড়ই আনন্দের। ১৯টি বছর একটি চ্যানেলের জন্য কম কথা নয়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় যারা বৈশাখী টেলিভিশনের সঙ্গে ছিলেন এখনও যারা আছেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অফুরন্ত ভালোবাসার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। বৈশাখী টেলিভিশন যাত্রা শুরুর পর থেকেই দর্শকদের কথা চিন্তা করে নানাবিধ অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। কারণ দর্শকদের ভালোবাসা ছাড়া এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব ছিল না। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন সবশ্রেনীর দর্শকের কথা মাথায় রেখে আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান এবং বরাবরের মতো বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করবে। মহান বিজয়ের মাসে ব্যাপক আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল আমাদের কিন্তু বিশেষ কারণে এবারও বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকছে না তবে পর্দায় এ আয়োজনের কোনো কমতি নেই। ১৯ বছরে বৈশাখীর এ পর্দা আয়োজন দর্শকদের ভালো লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। সবশেষে এমন আনন্দঘন মুহূর্তে বৈশাখী টেলিভিশনের সম্মানিীত সকল দর্শক, বিজ্ঞাপণদাতা, কেবল অপারেটরসহ সকল শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।