নওগাঁ কারাগারে বন্দী মতিবুল মন্ডল (৫৫) নামে বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। নাশকতার মামলায় গত ২৭ নভেম্বর থেকে নওগাঁ কারাগারে ছিলেন।নওগাঁ কারাগারের জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পতœীতলা থানার একটি মামলায় মতিবুল মন্ডল গত ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। তিনি মারপিট ও বিষ্ফোরক মামলার আসামী ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৪ ডিসেম্বর হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কারাগার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই কয়েকদিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুধবার সকালে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে মারা যান।তিনি আরও বলেন, মতিবুল মন্ডল আরটিআই (শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমন), হার্টের সমস্যাসহ তিন-চারটি জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েই তিনি মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মতিবুলের ছেলে আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত ২৬ নভেম্বর আমার বাবাকে নজিপুর পৌরসভার পুরাতন বাজার এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে কারাগার থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয় যে, তোমার পিতা মারা গেছেন। কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় কীভাবে মৃত্যু হলো তাঁর সঠিক কারণ জানতে চাই।’মতিবুল মন্ডলের প্রতিবেশি পত্নীতলা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহিন রহমান জানান, মতিবুল মন্ডল নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর পতœীতলা থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার মতিবুলের মতো কারাগারে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাঁদের সুচিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মতিবুলের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য তদন্ত দাবি করছি।