আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিলগ্যালা ভেঙে শিপইয়ার্ডে কার্যক্রম পরিচালনা করায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত কোহিনুর স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযানকালে ইয়ার্ডের ৫ জনকে আটক করে ১৫ দিন করে জেলের সাজা দিয়েছেন তিনি। সাজাপ্রাপ্ত ৫ আসামীরা হলেন-উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের উত্তর সলিমপুর গ্রামের মৃত ফারুক আহমেদের ছেলে মোঃ হানিফ, একই এলাকার বাসিন্দা গুরা বাঁশি দাশের ছেলে কাঞ্চন দাশ, মৃত নুর হোসেনের ছেলে হাসান আলী, মৃত ইউসুফের ছেলে মোঃ নাছির, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের মৃত শামছুল আলমের ছেলে পারভেজ আলম। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, মোঃ আবুল কাসেম প্রকাশ রাজা কাশেমের স্ত্রী কোহিনুর বেগমের নামে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট সমুদ্র উপকূলের উত্তর সলিমপুর মৌজার বিএস দাগ ১ এর ৫ একর সমুদ্র সিকস্তি ভূমি দখল ও উপকূলীয় বনে গাছ কেটে কোহিনুর স্টিল নামক একটি শিপইয়ার্ড স্থাপন করায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ২১ মে তাদের ইজারা বাতিল ও স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে সিলগ্যালা করা হয়েছিলো। কিন্তু রাজা কাশেম স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে নিজেই আইন লঙ্ঘণ করে সিলগ্যালা ভেঙে কার্যক্রম শুরু করে পুনরায়। এ বিষয়টি জানতে পেরে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আমি সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা একজন ম্যানেজারসহ পাঁচ জনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছি। তিনি আরও জানান, সেখানে অভিযানের আগে এবং পরে রাজা কাসেমের ভাড়াটিয়া লোকজন ভ্রাম্যমান আদালতকে সরকারী কাজে বাধা দেবার চেষ্টা করে। অভিযানে সার্বিক সহযোগীতা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানা ও ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।