রামপালে চাঞ্চল্যকর ১৪ বছরের নাবালিকাকে
অপহরণপূর্বক গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামীকেগ্রেফতার করেছে র্যাব -৬। র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান দীর্ঘদিন ধরেই উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামি রহমত আলী, শেখ রাসেল হোসেন এবং মোঃ রাকিব হোসেন সজল ভিকটিমকেউত্যক্ত করে আসছিল।
এ নিয়ে ভিকটিমের অভিভাবকগণ আসামীদের ভিকটিমকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
যার প্রেক্ষিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বিকাল ০৩টা ২০ মিনিটের দিকে রামপাল থানার মিরাখালী নিকটে জনৈক গৌতম পাল এর ঘেরের সামনে খুলনা মোংলা মহাসড়কের উপর থেকে ১নং আসামী রহমত আলী, ২নং আসামী শেখ রাসেল হোসেন এবং ৩নং আসামী মোরাকিবহোসেন সজল পুর্বপরিকল্পিত ভাবে উক্ত ভ্যানগাড়ীর পথরোধ করিয়া ভ্যান চালককে ভয়ভীতি দেখাইয়া জোর পূর্বক ভিকটিম’কে অপহরণ করিয়া মটরসাইকেল যোগে রামপাল তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ০৪টা ১৫ মিনিটের দিকে রামপাল থানাধীন বড় দুর্গাপুর সাকিনস্থ পুটিমারী জনৈক পলাশ এর ঘেরের নির্জন ঝুপড়ি টং ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়। এবং ভিকটিম এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রথমে ১নং আসামী রহমত আলী তারপর ২নং আসামী শেখ রাসেল হোসেন এবং ৩নং আসামী মোঃ রাকিব হোসেন সজলদ্বয় ভিকটিমকে শারিরিকভাবে নির্যাতন করজোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এদিকে ভিকিটিম বাসায় আসতে দেরি করায় পরিবার থেকে ভিকটিম এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু তাহার সাথে যোগাযোগ করিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন নিয়ে খোজাখুজি করতে থাকেলে একপর্যায়ে আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭ টা ১৫ মিনিটের দিকে ভিকটিম রামপাল থানার ভাগা বাজারের শেখ শরিফুল ইসলামের দোকানের সামনে ভ্যানযোগে অসুস্থ অবস্থায় নেমে কান্নাকাটি করতে থাকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মামা বাদী বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা রুজু করেন।ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং গণধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল গত ০৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার রহমতকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।