কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের চরকামালপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন উপজেলার চরকামালপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সাফি উদ্দিন (৩২) অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে তাদের একই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে সবুজ মিয়া (৪০) ও আবুল হাসান ওরুফে বাচ্চু (৪৬), মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হাবিবুল্লাহ্ (২৬), মৃত আরশ মিয়ার ছেলে মুর্ছালিন মিয়া (২০), বাবুল মিয়ার ছেলে ওবায়েদুল্লাহ (২১) ও আবুল হাসান ওরুফে বাচ্চু মিয়ার মেয়ে মোছা. জোনাকি বেগম (২১) সহ প্রায় ১৫-২০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রাদী নিয়ে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে রোপিত পাকা ধানের জমিতে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ধান কাটতে থাকে। এসময় বাঁধা নিষেধ দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন সাফি উদ্দিনের উপর হামলা করে মারধোর করে। সাফি উদ্দিনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় মানিক মিয়া, শাহীন শা আলম ও আইনুন নাহার গুরুতর রক্তাক্ত আহত হয়। পরে তাদের ডাক চিৎকারের এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। আহত মানিক মিয়া ও শাহীন শা আলমের অবস্থা গুরুতর দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত দু’জনকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তারা দু’জন ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানান তাদের পরিবারের লোকজন। আহতদের পরিবারের লোকজন আরো বলেন, বর্তমানে প্রতিপক্ষের হুমকি ধামকির ভয়ে তারা তাদের বাড়ী যেতে পারছেননা।
এঘটনায় আহত মো. সাফি উদ্দিন বাদী হয়ে সবুজ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ওইদিন কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হামলা ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত সবুজ মিয়া বলেন, তারা তাদের জমি থেকে ধান কাটতে গেলে সাফি উদ্দিন লোকজন নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলায় তিনি নিজেসহ তার পক্ষের আবুল হাসান বাচ্চু (৪৫) ও জোনাকি বেগম (২০) সহ ৪ জন আহত হয়। তিনি নিজে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। জোনাকি ও আবুল হাসান বাচ্চুকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হলে তাদেরকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন।