বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

চাঁদপুর চান্দ্রা ইউনিয়নে প্রতিহিংসায় নামাজের স্থান ভেঙ্গে দেওয়া অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি / ১৩০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩, ৩:১০ অপরাহ্ণ

চাঁদপুর সদর উপজেলা ২ন চান্দ্রইনিন চেয়ারম্যান রোড ওয়াপদা সিআইপি বেড়িবাঁধের বুকে নির্মিত পথচারী লোকদের নামাজ পড়ার পাঞ্জা খানা স্থান স্থানীয় প্রভাবশালী সালাউদ্দিন বাবু, জামায়াত উগ্রবাদী মৌলভী নেতা শাহজাহান আখন ও দুইটি মসজিদের মোহতামিম এর নেতৃত্বে ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

এই নিয়ে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও ঘটে যেতে পারে বলে ধারনা এলাকাবাসীর। জানা যায়

২২ নভেম্বর বুধবার বাদ আসর সালাউদ্দিন বাবু, জামায়েতনেতা শাহাজান আখন মুক্তার আখন মোহাম্মদ মনির গাজী মৌলভী হাসান,খানসহ বেশ কিছু এলাকার উগ্রবাদী লোক ও মোহতামিম ও মাদ্ররাসার শিক্ষার্থীরা মিলে এই নামাজের স্থানটি ভেঙ্গে দেন বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে ঐই এলাকার সালাউদ্দিন বাবু বলেন ওয়াবদা রাস্তার বুকে নামাজের স্থানটি আমরা দুটি মসজিদের মোহতামিম ও ছাত্ররা মিলে ভেঙ্গে দিয়েছি।

এই নামাজের স্থানের নিচে কিছু লোক মাদক সেবন করত ও কিছু চিশতিয়া তরিকতের লোক প্রতি বৃহস্পতিবার ওরোশ করত, আর কিছু উদ্ভট কথা বলত, যারা সংখ্যায় খুব কম। তাই আমরা এই অসামাজিক কাজ প্রতিহত করতে গিয়ে দুই কওমি মসজিদের মোহতারিম ও মুফতীদের সাথে আলোচনা করে নামাজের জায়গাটি ভেঙ্গে দেই। এই সময় সংখ্যায় ৯৫ ভাগ হুজুর ও ছাত্ররা উত্তেজিত অবস্থায় ২ জন চিশতিয়া অনুসারীদের মারধোরও করে।

এই বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান যারা নামাজের স্থানটি ভেঙ্গেছে তারা সঠিক কাজ করেনি। নামাজের স্থানের পবিত্রা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।কেউ যদি মাদক সেবন করেই থাকে তাহলে তাকে আইনে দেওয়া যেত, না হলে তাদেরকে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়া যেত। এলাকার স্থানীয় কিছু লোক জন তাদের অর্থায়নে এই নামাজের স্থানটি করা হয়েছে। আমরাও মাঝে মাঝে এখানে নামাজ আদায় করি। যারা দৃষ্টিতে খারাপ নামাজের স্থানটি না ভেঙ্গে তাদেরকে বয়কট করা উচিত ছিল। তাদেরকে সঠিক পথে ফেরানোর দায়িত্ব ছিল। যারা অসামাজিক কাজই করে তারা ভালো না হলে যে কোন স্থানে তারা অসামাজিক কাজই করবে। এই নামাজের স্থানটিরত কোন দোষ ছিল না? এলাকার কিছু দুষ্ট লোক তাদের প্রভাব দেখাতে গিয়ে হুজুরদের ব্যবহার করে এই কাজটি করে এলাকায় বিভাজন সৃষ্টি করেছে।মশার সাথে জিদ করে মুশারী পোড়ানোর মত ঘটনা এটা। নামাজের স্থানটি ভাঙ্গা কোন যুক্তিতে আসে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

স্বপন নামে এক বয়স্ক সি এন জি চালক বলেন আমি এই রাস্তা দিয়ে সি এনজি চালাই, নামাজের সময় হলে আমি এখানে মাঝে মধ্যে নামাজ আদায় করতাম। যারাই এই নামাজের স্থানটি ভেঙ্গেছে তারা সঠিক কাজ করেনি।

চিশতিয়া তরিকত অনুসারী মোঃ আলী আহমেদ বলেন আমরা পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনকে অবমাননা করি না। আল কোরআন হল আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ৩০ পারা পবিত্র কোরআনকে কোন মুসলমান অস্বীকার করতে পারেনা।

কোরআনকে অবমাননা নিয়ে যারা প্রবাকান্ড চরিয়ে মানুষকে বিভান্ত্র করতে যাচ্ছে , তাদেরকে আল্লাহ সহি বুজ দান করুক। তবে আমাদের কিছু কিতাব আছে যা কোরআনের আয়াত থেকে এসেছে, যা পবিত্র গ্রন্থ কোরআন থেকে বড় নয়।

নামাজের স্থানের সাথে আমাদের তরিকতের কাজের কোন সম্পর্ক নেই। নামাজের স্থানের পূর্ব দিকে আমরা একটা গ্যারেজ ভাড়া নিয়ে সেখানে মিলাদ ক্বেয়াম ও জিকির করি । আমরা কোন অসামাজিক কাজ করি না।

যারা বলে আমরা অসামাজিক কাজ করি, তারা তার একটি প্রমাণ দেখাতে বলেন। মূলত আমাদের মিলাদ ক্বিয়াম টাই তাদের সমস্যা। এখানে মিলাদ জিকির হোক এটা কিছু উগ্রবাদী লোক চায় না । ওখানে সব লোকে নামাজ পড়ে । নামাজের পাঞ্জাখানার স্থানটি ভাঙ্গার কোন যুক্তি আসে না।

চিশতীয়া তরিকার আরেক অনুসারী মুনির বলেন সালাউদ্দিন বাবু’ যে কিনা গত চার মাস ধরে আমাদের পিছে লেগে আছে, আর বলে আমরা এই নামাজের জায়গায় গাঁজা খাই, আমরা এই নামাজের স্থানে কোন অসামাজিক কাজ বা মাদক সেবন কেউ করে না, আমাদের খানকা আলাদা।

আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এই নামাজের স্থানটি ভাঙ্গার যারা উগ্রবাদী সন্ত্রাসী জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক ।

এদিকে এলাকাবাসীর অনেকে জানিয়েছেন এটা দুঃখজনক ঘটনা নামাজের স্থানটি ভাঙ্গাটা বিশাল অপরাধ আমরা এখানে সেজদা দিয়েছি এটার উপর আঘাত করা মানে আমার রাসুলের উপর আঘাত করা হয়েছে উগ্রবাদী মৌলভী সন্ত্রাস কাজটি যারা করেছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার বিষয়টি নজর দিয়ে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!