দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাবা-ছেলে ও দুই নারীসহ ১২ জন। তারা সবাই নৌকার মাঝি হতে চান। তবে এদের মধ্যে চার-পাঁচজন ছাড়া অন্যরা রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থাকলেও সংসদ নির্বাচন এলে তারা পরিচিতি বাড়াতে প্রার্থী হয়ে নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় জানান দেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হতাশা ব্যক্ত করেন। এ আসনে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন-আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ-সদস্য মো. নুরুল আমিন রুহুল, মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঞ্জুর আহমদ, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এসি মিজান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান সিআইপি, যুবলীগের মহিলা সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাকিয়া সুলতানা শেফালী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি জেসমিন সুলতানা, রেল শ্রমিক লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম (খোকা) পাটোয়ারী।
তবে শেষ পর্যন্ত কার হাতে উঠবে নৌকা; সেই অপেক্ষায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আসনটিতে একাধিকবার বিজয়ী হয়েছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে মতলব সেতু নির্মাণ, মতলব উত্তর উপজেলা, মতলব পৌরসভা, ছেংগারচর পৌরসভা প্রতিষ্ঠাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। বিশেষ করে মেঘনা-ধনাগোদা বাঁধ রক্ষায় ব্যাপক কাজ হয়েছে তার সময়ে। ছোট-বড় ব্রিজ-কালভার্ট হয়েছে অসংখ্য। প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন হয়েছে। এসব কাজের জন্য মতলববাসী এবারো মায়া চৌধুরীকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।
আর বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এর সমর্থকরা বলেন, রুহুল ভাই মতলবে শান্তির দুত হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। তার আমলে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের জন্য প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকার কাজ চলমান। ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও রুহুল ভাইয়ের সহয়তায় চার হাজার কোটি টাকার মতলব- গজারিয়া সপ্নের জুলন্ত সেতু একনেকে পাস হয়েছে। আমরা চাই তাদের মাধ্যমেই আবার সেতুটি বাস্তবায়ন হোক।
এদিকে তৃনমুল পর্যায়ের তরুণ নেতাদের মধ্যে মিজানুর রহমান এসি মিজান এর রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।
এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ. কুদ্দুস এর সাধারণ জনগণের সাথে রয়েছে কাজের সম্পৃক্ততা। ফলে তিনিও আলোচনায় রয়েছেন।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসফাক হাসানের সমাজ সেবামূলক কাজ ও প্রচার-প্রচারণায় ছিলেন সরব।তিনিও আলোচনায় রয়েছেন জনমনে।
বাকিদের মাঠে উপস্থিতি না থাকলেও নির্বাচনি মনোনয়ন বোর্ডের দিকে চেয়ে আছেন সাধারণ আওয়ামী ভোটাররা।