দিনাজপুরের বিরামপুরে শিশু নির্যাতন ঘটনার নিউজ প্রকাশিত হলে নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার একুশে নভেম্বর দুপুর ২ ঘটিকায় বিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন নির্যাতিত শিশুটির পরিবারের খোঁজখবর সহ শিশুটিকে দেখতে যান এবং পরিবার টিকে সান্তনা দেন এবং যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে এ মর্মে আশ্বস্ত করেন। এসময় নির্বাহী অফিসার নির্যাতিত শিশু লামিয়ার বাবা ও মায়ের হাতে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার শীতের কম্বল প্রদান করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত রবিবার (১৯ নভে: -২৩) দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিরামপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে শিশু নির্যাতনের ঘটনা টি ঘটে। নির্যাতিত শিশু লামিয়া পৌরসভার শিমুলতলী গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে বয়স সাত
লামিয়া নূরানী তালিমুল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণীর ছাত্রী। লামিয়া প্রতিদিনের ন্যায় পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর নুরানি তালিমুল মাদ্রাসায় যায়, মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার সময় একই মহল্লার মাছুদের বাড়িতে এক কাঠমিস্ত্রী ইনছার আলী পিতা ইয়াদ আলী (৬৫) নবাবগঞ্জ উপজেলার পচামাগুরা পাড়া গ্রামের স্হায়ী বাসিন্দা কাজ করছিল।
উক্ত কাঠমিস্ত্রী ইনছার আলী শিশু লামিয়াকে সূ-কৌশুলে ডেকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেন। শিশু লামিয়া বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনা বলে দেয়। কিছুক্ষণ পর তার মা দেখতে পায় লামিয়া শারিরীক যন্ত্রণায় ছটফট করে। অবস্থা বেগতিক দেখে লামিয়াকে নিয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি থানায় অবগত করলে থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হন। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া পর দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্যাতিত লামিয়াকে রেপাট করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, শিশু ও নারী নির্যাতন মামলা দায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি কে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।