রবিবার (১৯ নভেম্বর) চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানাধীন টামটা উত্তর ইউনিয়ন এর গৃহবধু রিনা আক্তার (২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম।
তিনি নিহতের পরিবার ও স্থানীয় প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন রিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের ব্যাপারে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ভিকটিম রিনা আক্তার (২৫),এর সাথে টামটা উত্তর ইউনিয়ন হাবিবুর রহমান গত দুই মাস পূর্বে বিবাহ হয়।
গত ১৭/১০/২৩ ইং তারিখ ভিকটিম রিনা আক্তার তার স্বামীকে না বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে যায়।
অদ্য ১৭/১১/২৩ ইং তারিখ ভিকটিম রিনা আক্তার ঢাকা থেকে তার স্বামীর বাড়িতে গেলে এতোদিন কোথায় ছিল ভিকটিমকে তার স্বামী জিজ্ঞাসা করলে উভয়ের মধ্যে তর্ক বির্তক হয়। একপর্যায়ে স্বামী হাবিবুর রহমান উত্তেজিত হয়ে ছুরি দ্বারা ভিকটিম রিনা আক্তারকে উপুর্যুপরি ডান হাতের বাহু, পেটে, বুকে ও পায়ে আঘাত করে। ভিকটিমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে স্থানীয় ওয়ারুক বাজার মেডিল্যাব ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
ভিকটিমকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানার , ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ইং তারিখে মামলা দায়ের করা হয়,যার নং-১৬৭,
মামলার ১নং আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান খোকন(৪৫), ২. আমেনা বেগম(৩০), ৩. লাকী বেগম(৪৫), ৪. রাবেয়া খাতুন অরুনী(৬২), ৫. লুৎফুর রহমান(৬৮), অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের সাথে সাথে মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু, সহকারী পুলিশ সুপার(কচুয়া সার্কেল), চাঁদপুর, অফিসার ইনচার্জ, শাহরাস্তি মডেল থানা, চাঁদপুর, জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ অফিসারবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।