সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে দর্শকের মন জয় করেছে সময়ের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন। তরুন শিল্পীদের মধ্যে একজন অন্যতম নৃত্যশিল্পী। নৃত্যশিল্পী হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নৃত্যশিল্পী হিসাবে। আজ এই নৃত্যশিল্পীর জন্মদিন।
তিনি এখন নাচ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাচের জীবন শুরু হয় তার ২০০৬ সালে মায়ের উৎসাহতে। ১ম নৃত্যের হাতে খড়ির তালিম নেন নৃত্য গুরু এম.আর. ওয়াসেক এর কাছ থেকে। এর পরে তিনি লোক নৃত্য ( নৃত্য গুরু সোহেল রহমান ) ও শাস্রীয় কত্থক নৃত্যের ( নৃত্য গুরু মুনমুন আহমেদ ) ওয়ার্কশপ করেন ২০০৯ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে। ২০১০ সালে তিনি বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস ( বাফা ) তে ভর্তি হন এবং ২০১৪ সালে সার্টিফিকেট কোর্স সম্পুর্ন করেন। তার ২য় নৃত্যের হাতে খড়ির তালিম নেন নৃত্য গুরু শহীদুল ইসলাম বাবু।এর পরে তিনি ভরতনাট্যম এর উপরে তালিম নেন নৃত্য গুরু কস্তুরি মুখার্জি ( ২০১৪ – ২০১৬ ) এবং এর পরে তিনি শাস্রীয় নৃত্য ভরতনাট্যমের উপর তালিম নেন নৃত্য গুরু আনিসুল ইসলাম হিরুর কাছ থেকে, তা আজ পর্যন্ত তার প্রশিক্ষন অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি কাজ করেছেন, নৃত্য গুরু কবিরুল ইসলাম রতন ( নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কাজ করে আসছেন ২৩-২৪ বছর ধরে ), নৃত্য গুরু মীনু হক ( পল্লবী ডান্স সেন্টারে ৭ বছর ) নৃত্য গুরু অনিক বোস ( স্পন্দনে ৭ বছর ), নৃত্য গুরু ফারহানা চৌধুরী বেবি ( বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস ৪ বছর )।
এছাড়াও তিনি নবনৃত্য ওয়ার্কশপ করেন ২০১৩ ও গৌড়িও নৃত্যের ওয়ার্কশপ করেন ২০১৬ সালে। তিঁনি শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে শাস্ত্রীয় ভরতনাট্যম নৃত্যের উপরে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন ২০২৩ সালে। তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি চাকুরিতে কর্মরত ছিলেন, পল্লবী ডান্স সেন্টারে সহকারী নৃত্য প্রশিক্ষক পদে ২০১৩-২০১৪ সাল পর্যন্ত, বিনকার মিউজিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ এ নৃত্য প্রশিক্ষক পদে ২০১৪-২০১৫, লিটল আইনস টাইনস টিউটোরিয়াল এ নৃত্য প্রশিক্ষক ও নৃত্য কোরিওগ্রাফার পদে ২০১৫-২০২১ সাল পর্যন্ত।
তিনি ইতি মধ্যে বিদেশ সফর করেন, পল্লবী ডান্স সেন্টার থেকে ইন্ডিয়া ( আগরতলা ও ত্রিপুরা ) ২০১৫ সালে, স্পন্দন থেকে ইন্ডিয়া ( কলকাতা ২০১৬ ও ২০১৭ ) সালে, সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার থেকে লেবানন ( ২০১৭ সালে ), সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার থেকে ব্রুনেয় – ২০১৮ ও ২০২১ সালে এবং দুবাই ২০১৯ সালে। এর পরে ভঙ্গিমা ডান্স থিয়েটার থেকে মিশর ( ২০২২ সালে )। এছাড়াও তাঁর হৃদমিক ডান্স সেন্টার নামে একটি নৃত্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যা সুনামের সাথে কাজ করে চলছে।তিনি তার দল নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে, দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চান বিশ্বের দরবারে।