ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে শিক্ষক রনজিত চক্রবর্তীর বেত্রাঘাতে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
পরিক্ষা চলাকালীন সময় উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা এম এবাদুল করিম বুলবুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে। নবম শ্রেণির “গ” শাখায় পড়ুয়া ঐ শিক্ষার্থী বাঙ্গরা গ্রামের নূরুল হক মিয়ার ছেলে মহসিন(১৪)। পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে আরাফাত ও মহসিনের মধ্যকার টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে ঐ শিক্ষক রাগান্বিত হয়ে মহসিনের সারা শরীলে বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করে।এতে ঐ ছাত্রের প্রচন্ড জ্বর ও ব্যাথা শুরু হলে তার পরিবারের সদস্যরা রাতে তাকে চিকিৎসার জন্য নবীনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এবিষয়ে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মহসিন জানান,পরিক্ষা দেয়ার সময় এক টেবিলে দুইপাশে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বসার পর অষ্টম শ্রেণির আমার পরিচিত একজন বসার কারণে স্যার আমাকে কস্টিপ পেচানো বেত দিয়ে সারা শরীলে আঘাত করে হুমকি দেয় আমাকে চিনস না আমি কত ভয়ংকর।
হতদরিদ্র অসহায় হওয়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নিকট ঐ শিক্ষকের বিচার দিতে ভয় পাচ্ছি জানান শিক্ষার্থীর মা শাহিদা বেগম।তিনি আরো বলেন একজন শিক্ষক যেভাবে আমার ছেলেকে গরুর মত পিটিয়েছে আমি এর কঠিন শাস্তি চাই।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সফি উল্লা,সহিদুল ইসলাম সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, স্কুলে বেত না রাখার জন্য সরকারের নিষেধ থাকার পরও যদি একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে এমনভাবে মারধর করে তাহলে আমাদের সন্তানদের অন্য স্কুল পাঠানো ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না, এই শিক্ষক পূর্বেও এমন ঘটনা ঘটানোর দায়ে ৫ বছর জেল হেঁটেছে শুনেছি ।আমরা অবিলম্বে এই শিক্ষককে স্কুল থেকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানাই।
শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে গুরুতর আহত করা শিক্ষক রনজিত চক্রবর্তী জানান,আমি রাগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এমনটা করেছি,পরে বিষয়টি বুজতে পেরে নিজে নিজে অনুতপ্ত হয়েছি।
এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোকারম হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক সহ স্কুল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।