বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্যানেল গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কে থাকছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা দেননি। তিনি বলেছেন, এ পদে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে ভাবছেন। এ তালিকায় চিত্রনায়ক রুবেল এবং চিত্রনায়িকা মৌসুমী থাকতে পারে। বিষয়টি অনেকটা রহস্যের মধ্যে রেখে দিয়েছেন ডিপজল। তিনি বলেছেন, সময় হলে চূড়ান্ত ঘোষণা দেব। এদিকে, শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ ডিপজলের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদি তাই হয়, তবে এটি হবে ডিপজলের দেয়া বড় চমক। এ নিয়ে ডিপজলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখনও সাধারণ সম্পাদকের পদটি চূড়ান্ত করিনি। বেশ কয়েকজনকে নিয়ে ভাবছি। যদি নিপুণ আমার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তাকে বিবেচনা করব। কারণ, নিপুণ আমার ঘরেরই মেয়ে। আমি ওকে চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছি। ও যদি আমার সঙ্গে নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তাকে স্বাগত জানাব।
ডিপজল বলেন, গত নির্বাচন নিয়ে যেসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাতে চলচ্চিত্রের বদনাম হয়েছে। বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। আমি শুরু থেকেই এই বিভেদ ভুলে সবাইকে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য বলে আসছি। বারবার তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছি। আমি সবসময়ই বলি, চলচ্চিত্র শিল্পীরা একটি পরিবারের মতো। এখানে বিভেদ থাকা উচিৎ নয়। নোংরামি হয়, এমন কাজ করা ঠিক নয়। নিজেদের মধ্যে মানঅভিমান ও মনোমালিণ্য থাকতে পারে, তার মানে এই নয়, তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিতে হবে। গত নির্বাচন নিয়ে যা হয়েছে, তা বাড়াবাড়ি ছিল এবং এতে আমাদের শিল্পীদের সম্মানহানি হয়েছে।
ডিপজল বলেন, সমিতির যত সদস্য আছে, এমনকি সদস্য নয়, তাদেরকেও আমি পরিবারের সদস্য মনে করি। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি মনে করি, সমিতির সদস্যদের স্বার্থে এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। এতে শিল্পীদেরও কল্যাণ হবে, চলচ্চিত্রও উপকৃত হবে। নিপুণ যদি আবার নির্বাচন করে এবং আমার প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তাহলে সমিতির স্বার্থে ওকে ওয়েলকাম করব। যেটা ভালো হয়, সময়মতো সেই সিদ্ধান্ত নেব। এদিকে জানা গেছে, শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন নির্বাচন করবেন না। ফলে গত বছর যে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ছিল, এবার তা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। ফলে নিপুণ নির্বাচন করলে ডিপজলের প্যানেলে যেতে পারেন বলে তার ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন। সমিতির অনেক সদস্য মনে করছেন, ডিপজল-নিপুণ প্যানেল হলে সমিতির মধ্যে বিরাজমান অনৈক্য ও বিতর্কের অবসান হবে। এতে সমিতি উপকৃত হবে। একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।