পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অশুভ শক্তি দমন কারিনি দেবী শ্রী শ্রী মাতা কালী ঠাকুরানীর পূজা।
সার্বজনীন কালী মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরে যান ভক্তরা সেই প্রার্থনা করেন মা কালীর কাছে। বিজয় দশমীতে দেবী দুর্গার বিদায় অর্থাৎ শারদীয়া দুর্গোৎসবের ৫ দিন পর পূর্ণিমা তিথিতে প্রতিটি গৃহে সুখ শান্তি কল্পে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবী হচ্ছে ভগবান শ্রী নারায়ণের পত্নী তিনি জগতে ধনো দেবী হিসেবে পুজিত হন,পূজার কিছুদিন পর যেখানে যেখানে শারদীয় দূর্গা উৎসব হয় সে সব মন্দিরে, নিয়ম অনুযায়ী শ্যামা পূজা হয়ে থাকে, তাছাড়া অনেকেই বাৎসরিকভাবে শ্যামা পুজো করে থাকেন।
তাই আজ রবিবার সন্ধায় সকল সনাতনিরা মৃত ব্যক্তিদের উদ্যেশ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে আত্মার শান্তি কামনা করে।অমাবস্যা তিথি শুরু হবার সাথে সাথে শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে সকল মন্দিরে পূজা আরম্ভ হবে।
তিথি নক্ষত্র অনুযায়ী অমাবস্যা তিথি যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ পূজা চলতে থাকবে ।
অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে নবপত্রিকা ও ঘট স্থাপন ও হোম যজ্ঞ এবং অঞ্জলি প্রদান শেষে, উপস্থিত ভক্তদের মধ্য প্রসাদ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
প্রসাদ সামগ্রীর মধ্য মা কালির প্রিয় নারকেল, নাড়ু, লুচি, দই, সন্দেশ, ডাল, আঁখ, লেবু, আপেল, কলা, আঙ্গুর সহ অন্যান্য মিষ্টি সামগ্রী নিবেদন এর মাধ্যমে দেবী কে কালি সন্তুষ্টি করা হয়।
সনাতন ধর্মের মানুষেরা এটাই মনে করেন দেবি কালিকে সন্তুষ্ট করতে পারলে সকল অপশক্তির বিনাশ হয়ে থাকে। গৃহে মানসিক প্রশান্তি পায়।
তাই এই দিনে নানা উপকরণ দিয়ে ভোগাদি ও আসন নিবেদন করে মা কালির মুর্তিকে পুরোহিত দ্বারা পূজা অর্চনা শেষে ভক্তরা দেবীকে সন্তুষ্ট করে থাকেন। পদ্মফুল ও সোলার ফুল এই পুজাতে লাগে।
মনে করা হয় এটা একটি শুভ শক্তির প্রতীক। এটা থাকলে মায়ের কৃপা বর্ষিত হয় সাথে অশুভ শক্তি দূরীভূত হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এদিন সন্ধ্যায় শত শত প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে আলোয় আলোকিত করে মৃত ব্যক্তিদের আত্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য এ উপকরণ করা হয়ে থাকে এবং দেবীকে উদ্দেশ্য করে পূজা অর্চনা নিবেদন করেন।এবং পুজাকে উদ্যেশ্যে করে বিভিন্ন রকম আতশবাজি ফাটিয়ে ও বিভিন্ন সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে শ্যামা মায়ের পূজা শেষআজ ঠিক সন্ধে সাতটায় কালীপুজোর শুভ সূচনা।
উপজেলা হলো এবারে তাদের ভাবনা শুধু ভাবনা নয়, প্রতিমা টিকেও এই ভাবনার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই তারা প্রতিষ্ঠা করেছেন, শুধু তাই নয় সদস্যরা বৃদ্ধা মাকে এই মন্দিরে নিয়ে এসেছিলেন ফুলের এবং উত্তরীয় পরিয়ে, এই নতুন ভাবনাকে উপস্থিত অতিথিরা স্বাগত জানিয়েছেন সদস্যদের,, এছাড়াও উপস্থিত লোকসভার বিধায়ক এই বৃদ্ধা মায়েদেরকেও একটি কথাই বলে গেলেন এবং প্রদীপ প্রজ্জলনের এর মধ্য দিয়ে আজকের এ-ই নিয়ম প্রতিমার শুভ, শুধু তাই নয় যাহারা আজকে উপস্থিত ছিলেন ,,তাহারা বলেন আমাদেরকে এইভাবে সম্মানিত করায় আমরা গর্বিত আমাদের ছেলে দের কাছে তবে তাহারা যতই মনোবল নিয়ে থাকুক না কেন, তাদের মধ্যে যে একটা কষ্ট আছে সেটা আমরা কথার মধ্য দিয়ে কিছুটা বোঝার চেষ্টা করেছি,, কারণ সবার মা বাবা তার ছেলেমেয়েদের কিভাবে মানুষ করে তুলেছিলেন, এবং শেষ দিনগুলি তাহাদেরকে ছেড়ে যে এইভাবে কাটাতে হচ্ছে,, সে কষ্টটা অতি অবশ্যই তাহারা বুঝতে পারছেন ,,কিন্তু তাহাদের করার কিছু নাই সদস্যরা এইরকম একটি ভাবনাকে বিভিন্ন মডেলের মধ্য দিয়েও তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন,,আর দর্শকরা যদি না এই পূজা মন্ডপ দেখতে না আসে,, তাহলে হয়তো এই এর আসল কাহিনীটা তুলে ধরতে পারবেন না, তাই বৃদ্ধাশ্রম দেখতে গেলে অতি অবশ্যই এসে দেখতে হবে। কেন তাহাদের বর্ষে এই ভাবনা,, প্রতি বছরই এই এমন এমন একটি ভাবনা তুলে ধরেন, যা দর্শকদের মনে হৃদয় গেঁথে যায়।পটুয়াখালীতে শ্মশান দীপাবলি উৎসব, সন্ধ্যায় মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মহাশ্মশানে স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রতিবছরের মতো এবারও জমায়েত হয়েছেন পূজা-অর্চনার জন্য।উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীর স্বজনরা মনে করেন প্রয়াতদের সমাধিতে পূজা-অর্চনা করলে তাদের আত্মা শান্তি পায়। পাশাপাশি এ সময় অনেকেই মৃতদের পছন্দের খাবার সমাধিতে রেখে উৎসর্গ করা হয়। তাই স্বজনদের সমাধিতে কেউ মোমবাতি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। আবার কেউ কেউ মৃত ব্যক্তির পছন্দের খাবার দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে স্মরণ ও আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এদিকে মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা যারা দেশে থাকেন না সেসব মৃত ব্যক্তিদের সমাধিগুলোকে কমিটির পক্ষ থেকে আলাদা রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সমাধিগুলোতে শ্মশান কমিটির উদ্যোগে দীপাবলি উৎসবের দিন সন্ধ্যায় মোমবাতি, ধুপকাঠি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।
যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও শশ্মানে অনেকেই দীপাবলির আয়োজন দেখতে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বজনদের সমাধিতে প্রদীপ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের জন্য স্বজনরা এসেছেন।