ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের বাঙ্গরা বাজার নামক স্থানের বেশ কয়কটি পোল্ট্রি মুরগীর ফার্মের ড্রেসিং এর দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ও আবর্জনায় প্রতিনিয়ত দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী হ্রদ খালটি।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার নবীনগর কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা বাজার নামক স্থানে অবৈধভাবে রাস্তার দুইপাশ দখল করে পোল্ট্রি মুরগী ফার্ম সহ অসংখ্য দোকানপাট নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করে আসছিল একটি প্রভাবশালী মহল। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর সওজ কতৃক দ্রুত পোল্ট্রি মুরগী ফার্ম সহ এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়। পরবর্তীতে হ্রদ খালের পশ্চিম পাশে ভাই বন্ধু, মেমার্স নাজমুল,ফুরফুরা শরীফ,এস এস নামক ৪ টি পোল্ট্রি মুরগী ফার্ম গড়ে তুলে প্রভাবশালী বাসার মিয়া, বাতেন মিয়া,আবুল কালাম আজাদ, সাইদুর রহমান, আলমগীর হোসেন। এসকল ফার্মগুলো ক্রেতাদের নিকট মুরগী বিক্রি করে ড্রেসিং মেশিনের ভেতর দেয়া সকালের গরম পানি দিয়ে সারাদিন ড্রেসিং করায় ঐপানি দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হানিকর ও এসব পানি সন্ধ্যায় হ্রদ খালে ফেলে দূষিত করছে হ্রদ খালের পানি। এছাড়া মরা মুরগী সহ ড্রেসিং করা মুরগীর অবশিষ্ট আবর্জনা ফেলায় দখলের কবলেও পড়ছে এই খালটি।
মুরগী ক্রেতা জীবন,আলমগীর সহ অসংখ্য স্থানীয় লোকজন জানান, অস্বাস্থ্যকর পানিতে ড্রেসিং করায় আমাদের রোগের ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে,তাছাড়া ইসলামে এমন ড্রেসিং স্পষ্ট নিষেধ রয়েছে ।এছাড়া ময়লা পানির দূর্গন্ধ ও ড্রেসিং করা মুরগী পাখা সহ অবশিষ্ট আর্বজনা ফেলায় হ্রদ খালটিও দখলের কবলে পড়েছে,এদিক দিয়ে দূর্গন্ধে হাটা যায় না।
এবিষয়ে মেসার্স নাজমুল পোল্ট্রি ফার্মের আবুল কালাম আজাদ জানান, ড্রেসিং এর পানিতে ব্লিসিং পাউডার মেরে ড্রেসিং করি,সবাই হ্রদে আর্বজনা ফেলে তাই আমিও ফেলি।সবাই বন্ধ করে দিলে আমিও দিব। অপর আরেক পোল্ট্রি ফার্ম ফুরফুর শরীফের স্বত্বাধিকারীরা সাইদুল ইসলাম জানান,আমরা রক্ত হ্রদের পাড়ে মাটি চাপা দেই আর ময়লা হ্রদে ফেলি।এছাড়া ড্রেসিং এর পানি কতক সময় পরপর পরিবর্তন করি।
এবিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান, দ্রুত এগুলো বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।