নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এতে গুলি বিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহতদের প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল করিম বাবু (৩৮), গুলি বিদ্ধ মো.মাসুম (২৩) ও মো.রিপন (৩৮) কে উন্নত চিচিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার বাঁধেরহাট কলেজ গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে এলাকার আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা আশরাফুল করিম বাবু ও মো. রিপনের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ গেইটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে দশ থেকে পনেরো রাউন্ড গোলাগুলি হয়। গুলি বিদ্ধ মাসুম সহ ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়। আশঙ্কা জনক অবস্থায় মাসুম ও বাবু সহ তিন জনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করেছে। এ দিকে বাবুর সমর্থকরা এ ঘটনার জন্য রিপনের লোকজনকে দায়ী করছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, আহত ৬জনকে হাসপাতালে আনা হয়। গুলিবিদ্ধ মাসুমসহ আহত ৪জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ২জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। আমি গুলির বিষয় নিশ্চিত না। তবে হাসপাতালে গিয়ে আমি দেখে এসেছি। ৩জনকে আহত অবস্থায় দেখেছি। এর মধ্যে এক গ্রুপের ১জন আরেক গ্রুপের ২জন ছিল। আহত ৩জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।