বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে সুদূর বান্দরবান থেকে ঢাকায় এসেছেন চার যুবক। পুলিশি হয়রানির ভয়ে আবাসিক হোটেলে উঠেননি তারা। সোজা চলে এসেছেন নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে রাত ১২টার দিকে কার্যালয় সংলগ্ন ভিক্টরি হোটেলের সামনে ফুটপাতে কাগজ বিছিয়ে শুয়ে পড়েন তারা। বান্দরবানের চার যুবকের মতো সারাদেশ থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এসেছেন নয়াপল্টনে। রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন তারা।
শুক্রবার বিকালে ঢাকায় এসেছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা রাজিয়া সুলতানা। হোটেল কিংবা স্বজনদের বাসা বাড়িতে না উঠে সোজা চলে এসেছেন নয়াপল্টনে। রাতেও এখানে থাকবেন তিনি। বাগেরহাটের খানজাহান আলী থেকে এসেছেন থানা সভানেত্রী মেহেরুন। তিনিও রাতে নয়াপল্টনেই থাকবেন।
শুধু নারী নেত্রীরাই নন।
দূর দুরান্ত থেকে এসেছেন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। অনেকেই হাতের ব্যাগকে মাথার বালিশ বানিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন।
কুমিল্লার লাকসাম থেকে আসা যুবদল নেতা ইমরান হোসেন জানান, ঢাকায় ঘনিষ্ঠ স্বজনদের বাসা না থাকায় এখানেই রাত কাটাবেন। হোটেলে উঠলে পুলিশি তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের শঙ্কা থাকে। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে নয়া পল্টনে খোলা আকাশকেই বেছে নিয়েছেন তিনি