ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের বীরগাঁও ইউনিয়নের দূর্গারামপুর-তিলকিয়ার বিল কেদেরখলা খালের উপরে থাকা একমাত্র ভরসার কাঠের পুলটি ভেঙে চার গ্রামের মানুষের যাতায়াতে জনদূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন বিগত ৫ বছর পূর্বে ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে কেদেরখলা,শুভারামপুর,তিলকিয়া,দূর্গারামপুর গ্রামের ১০ হাজারের অধিক মানুষের জেলা শহর,উপজেলা শহরে স্বাস্থ্য সেবা,আইনি সেবা,ভূমি সেবা,ইউনিয়ন পরিষদ সেবা,শিক্ষা সেবা পাওয়ার জন্য যাতায়াতের দূর্ভোগ লাঘবে নিজস্ব উদ্যোগে সরকারি ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিল কেদেরখলা খালের উপর কাঠের পুল নির্মাণ করে দেয়।সঠিক সংস্কারের অভাবে বিগত কয়েক মাস ধরে একমাত্র ভরসার কাঠল পুলটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারপার হতে হচ্ছে বীরগাঁও মালিক ভরসার লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ,বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ ও বীরগাঁও সোবহানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী, বাশমৌজা বাজারের ক্রেতা বিক্রেতা সহ নিত্যদিনের চিকিৎসা ও হাটবাজারের যাওয়া সহস্রাধিক যাত্রী সাধারণ মানুষের।
এবিষয়ে দূর্গারাম গ্রামের সরদার মোছেন মিয়া,দূর্গারাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল ইসলাম, বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র হৃদয়,ব্যবসায়ি শফিকুল ইসলাম,তিলকিয়া হরিরামপুরের অটে ড্রাইভার আল আমিন ও সবুজ সহ আরো অনেকে জানান, দ্রুত কাঠের পুলটি নতুন করে নির্মাণ করে না দিলে যেকোনো মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটবে।আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কষ্ট করে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে এটি পারাপার হই।বয়স্ক,শিশু,অসুস্থ রোগীদের পারাপারে অন্তহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জনদূর্ভোগ লাঘবে একমাত্র ভরসার কাঠের পুলটি নতুন করে নির্মাণের কি কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা জানতে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন কে জিজ্ঞাসা করতে তার মুঠোফোনে ফোন করে পাওয়া না গেলে এবিষয়ে নবীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির জানান,বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে কাঠের পুলের নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় এটি মেরামত করা হলেও দ্রুত ভেঙে যায়,তাই আমরা উঁচুে করে একটি ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।জনদূর্ভোগ লাঘবে সরজমিনে গিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।