ভাবীর পরকিয়ার ঘটনা বলে দেওয়ায় রংপুরের তারাগঞ্জে বড় ভাইয়ের ছুরির কোপে ছোট ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে।শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তারাগঞ্জ বাজারস্থ সুইপার কলোনিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় সুইপার কলোনিতে চলমান শারদীয় দুর্গোৎসব বন্ধ হয়ে গেলে রবিবার সকালে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের হস্তক্ষেপে পূজা উৎসব চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহা দশমীর ভোগ শেষে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের তত্ত্বাবধানে সেখানে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পুজা মন্ডপ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, তারাগঞ্জ বাজারস্থ সুইপার কলোনিতে শারদীয় দুর্গোৎসবের আরতী অনুষ্ঠান শেষে সবাই নিজেদের বাড়িতে চলে যায়। এসময় জগদীশ বাসফোড়ের ছেলে মানিকের স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের খবরটি মানিককে দেয় জগদীশের ছোট ভাই বাবুলাল বাসফোড়ের ছেলে বিজয় বাসফোর। বিভিন্ন স্থানে অন্য পুরুষের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ঘুরতে দেখে সহ্য করতে না পেরে বড় ভাই মানিককে সে কথা বলে দেয় বিজয়। কিন্তু মানিক বিজয়ের কথাটি স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। রাগের ক্ষোভে সাথে থাকা ছুরি চালিয়ে দেয় বিজয়ের গলা দিয়ে। এতে বিজয়ের গলা দিয়ে রক্তপাত হতে থাকলে পরিবার ও প্রতিবেশীরা মাইক্রোযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিজয়কে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা (পিপিএম) বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছে। লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। এখনো এজাহার পাইনি। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মানিক পলাতক রয়েছে। এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসফোর কলোনিতে শোকের ছায়া নেমে আসায় তাদের মন্ডপে চলমান দুর্গা পূজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। পরে রবিবার সকালে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে উক্ত মন্ডপের পূজার আয়োজন চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পূজা চলমান রাখার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কুমারেশ রায়কে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে পূজার আয়োজনের জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতির উপস্থিতিতে তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন মন্ডপে উপস্থিত হয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।