একদিনের ব্যবধানে পৃথক ঘটনায় ঢাকার সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় দুইজন আহত হয়েছে। এর একজনকে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। আজ (মঙ্গলবার)
ঘটনা ঘটেছে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর সাভারের ছায়াবীথি এলাকায়। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় পৃথক অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
জানা গেছে, সাভারের ছায়াবীথি এলাকায় রানাপ্লাজার আহত শ্রমিক মাহমুদুল হাসান হৃদয় (৩০) ফার্মেসী দিয়ে ঔষধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্যদের চাঁদা না দেওয়ায় গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় শত শত লোকের সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হৃদয়ের ফার্মেসীতে হামলা করে তারা। এ সময় হৃদয়ের দুই পায়ের রগ কেটে দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর দোকান থেকে নগদ টাকা ও ওষধ লুটপাট করে নিয়ে যায়। মুমুর্ষ অবস্থায় মাহমুদুল হাসান হৃদয়কে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক।
অপর ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর বিকেলে ছায়াবীথি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ফার্মেসী ব্যবসায়ী সুলতান আলমের ছেলে সাঈফ আলী খান সূর্য (১৭) কে কুপিয়ে আহত করে একদল কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরে প্রচুর রক্তপাত হলে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় তারা। বর্তমানে কিশোর গ্যাং সদস্যদের ভয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় পরিবারের সদস্যদের প্রহরায় চিকিৎসা চলছে সূর্যের।
সাঈফ আলী খান সূর্যের বাবা সুলতান আলম জানান, দির্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং সদস্য একই এলাকার মারুফ (১৬), রাকিব (১৭), ফয়সাল (১৬)সহ অন্যান্যরা আমার ছেলেকে তাদের দলে নেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ব্যাপারে আমার ছেলে অস্বীকৃতি জানালে গত ২১ অক্টোবর বিকেলে প্রকাশ্য দিবালোকে তারা হামলা করে। সূর্যের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পরে তাঁকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় তারা।
এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি কিশোর গ্যাং সদস্যদের উৎপাতে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় তারা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে এলাকায়। কেউ কিছু বলতে গেলে হামলার স্বীকার হচ্ছেন। এঅবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, উক্ত ঘটনা দু’টির ব্যাপারে থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।