কচুয়া পৌরসভার করইশ গ্রামের অধিবাসি মৃত অলি উল্লাহ বকাউলের ছেলে আলমগীর বকাউল প্রতারনার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে একই এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে মোঃ সোলেইমান মিয়া, আলমগীর বকাউল হতে ১টি ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ী মাসিক ভাড়া ৯ হাজার এবং ১টি পিকাপ (টাটা) গাড়ী মাসিক ভাড়া তেইশ হাজার ছয় শত টাকায় ভাড়ায় নেয়। তের মাসে মোট ৫৭ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বকেয়া আরো ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করছে না। অপরদিকে কিস্তির টাকা অনিয়মিত হওয়ায় টাটা কোম্পানী পিকাপ গাড়িটি নিয়ে নেয়। সোলেইমানের অনুরোধে আলমগীর বকাউল ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে পিকাপ গাড়িটি উদ্দার করে সোলেইমানকে পুনরায় দেয়। এ ক্ষেত্রেও মাসিক ভাড়া দিচ্ছেন না সোলেইমান মিয়া। কয়েকবার এলাকায় ও থানায় শালিশ বৈঠকে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় সোলেইমান। আরো একটি নতুন ব্যবসা আলমগীর বকাউলের জিম্মায় সোলেইমানকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা দেয়া হয। যাহা বরুড়া উপজেলা থেকে আসিফ এন্টারপ্রাইজ হতে নেয়া হয়। এ ব্যবসায়ও সোলেইমান আসিফ এন্টারপ্রাইজের পাওনা দিতে না পারায় জিম্মায় থাকা আলমগীর বকাউলকে চাপ প্রয়োগ করে তার ( আলমগীর বকাউল) নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয় আসিফ এন্টাপ্রাইজ। অবশেষে ১টি পিকাপ, ১টি ভ্যান গাড়ী ও সিলিন্ডার বিক্রি করে বিদেশ পাড়ি জমায় সোলেইমান মিয়া। সোলেইমান থেকে সর্ব মোট প্রায় ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা পায় ভুক্তভোগি ও প্রতারনার শিকার আলমগীর বকাউল। দেই দিচ্ছি , আজ,না কাল, কাল না পরশু এমন প্রতারনা করে চলেছে সোলেইমান মিয়া। এ বিষয়ে সোলেইমান মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ সব বিষয়ে কচুয়া থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও কোনো সমাধান হয়নি বলে আলমগীর বকাউল জানান।