পটুয়াখালী জেলার বাউফল পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডে দুই যুগ ধরে দখলকৃত সরকারের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। ২০.১০.২৩ইং তারিখ রোজ শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলমের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ডের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়। বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে এ সরকারী জমি দখল করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বাউফল পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলাসহ ঘেরে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন। ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন। স্থানীয় ভাবে প্রতি শতাংশ জমির দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
জমি দখলের বিষয়টি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলমের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষনিক ওই জমি দখল মুক্ত করার জন্য বাউফলের সহকারী কমিশনার প্রতিক কুমার কুন্ডকে নির্দেশ দিলে তিনি দুপুর সারে ১২টার দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ লোক ও কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ওই সরকারী জমির উপরে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন। ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই। যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগীর খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে ছেড়ে দেব।’ চেয়ারম্যান জাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রশাসনের লোকজনের সামনে স্থাণীয় কয়েক সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে গালিগালস করেন বলে জানা গেছে।