ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে আপন চাচা কতৃক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
দক্ষিণ ইউনিয়নের কাইতলা গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহিমের পরিবারের সাথে এঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঐ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে নূর মিয়া মৃত্যুর পূর্বে তার মালিকানা ৩১৮ শতাংশ জায়গা থেকে ১২ শতাংশ জায়গা তার দুই মেয়ে হাজেরা ও রোকেয়াকে দানপত্র করে যায়।পরবর্তী তার মৃত্যুর পর অবশিষ্ট ৩০৬ শতাংশ জায়গা তার ৭ ছেলেরা নিজেদের মত বন্টন করে নিজ নিজ ভোগদখল নেয়।এরমধ্যে থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল রহিম তার বড় ভাই আলী আজ্জম থেকে ১০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে।পরে তার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ হিস্যা অনুযায়ী পাওনা ৪৩.৭১ শতাংশ ও ক্রয়কৃত ১০ শতাংশ মধ্যে ৫১.৫২ শতাংশ নিজেদের নামে নামজারি করে।পরে তাদের অংশে সরকারী ভাবে একটি বীর নিবাস নির্মাণ করে দেয়। মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বড় হওয়ায় তাদের জায়গায় তারা একটি দালান ঘর করতে গেলে তাদের চাচা মুরাদ এতে বাধা দিয়ে হয়রানি করে। উল্লেখ্য নূর মিয়ার ওছিয়তনামা দলিলে ৩১৮ শতাংশ উল্লেখ থাকলেও ১১৫১ বি এস খতিয়ানে জায়গার পরিমাণ ২৮৬ শতাংশ থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রহিমের স্ত্রী,বড় ছেলে নাজমুল,ছোট ছেলে তৌহিদ জানান, তারা তাদের নিজের জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে তার চাচারা তাতে বাধা দিয়ে মারতে আসে,মাপঝোঁকও মানতে নারাজ, এমনকি তাদেরকে সমাজচ্যুত করে রেখেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির করা চাচাদের মধ্যে মুরাদ হোসেন জানান,আমরা তাদের হয়রানি করিনি,তারা রাস্তার জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে আসলে বাঁধা দিয়ে বলছি’জায়গা মাপঝোঁক করে তারপর দালান নির্মাণ করতে।