ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী মোর্শেদ এ বিয়ে বন্ধ করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও মেহেদী মোর্শেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, চরভাদ্রাসন সদর উপজেলার টিলারচর এলাকার কে,এম, ডাঙ্গী গ্রামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ের খবর পাই।খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসময় মেয়ের বাবা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয় ইউপি’ সদস্য, মেয়ের চাচা- মামার উপস্থিতিতে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেনা এবং সেই সঙ্গে মেয়ের পড়াশোনাও চালিয়ে যাওয়ার মর্মে মেয়ের মা সালমা আক্তারের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেয়া হয়।
এসময় মেয়েটির জন্মসনদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, জন্মসনদের বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখবো। তদন্ত করে দেখে এর মধ্যে কোন অসঙ্গতি পেলে আমরা এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উল্লেখ গত বুধবার থেকে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে উক্ত এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খার সহযোগিতা মেয়ের বাবা এই বিয়ের আয়োজন করেন। পাশিপাশি চেয়ারম্যানের সহায়তায় মেয়ের ভোয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে। এবং এই বিয়ের সম্পূর্ন দায়ভার চেয়ারম্যান নিজে নিয়ে থাকেন। সাংবাদিকরা এই বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিন সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচারণ সহ নিজের ক্ষমতার হুংকার দিতে থাকেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে,চরভদ্রাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এই বিয়ে বন্ধ হয়। জানা যায় চেয়ারম্যান সহ মেয়ের বাবা এলাকা থেকে পলাতক রয়েছেন।