ঢাকাবুধবার , ১১ অক্টোবর ২০২৩
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেধাভিত্তিক রাজনীতি চর্চা করতে চান মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির

প্রতিবেদক
admin
অক্টোবর ১১, ২০২৩ ২:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

একটি পোস্টার নজর কেড়েছে উপজেলা বাসীর। স্কুল-কলেজে সর্বদা প্রথম স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি শাস্ত্রে অধ্যয়ন করার পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকায় তরুনদের কাছে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত হলেও মধ্যবয়সী ও বয়োবৃদ্ধদের কাছে কৌতুহলের কমতি নেই। মুক্তাগাছা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের বরাতে পোস্টারটি সাঁটানো হলেও মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত সাংগঠনিক সম্পাদক কবিরের পরিচিত ও পদ প্রাপ্তির কৃতজ্ঞতার পোস্টার হিসাবেই বহন করে। গ্রামের আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা সূত্র জানায় কবির মোঃ শহিদুল ইসলাম স্কুল জীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গঠিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। সক্রিয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত থাকলেও কখনো উচ্ছৃঙ্খলতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। মেধাভিত্তিক, মননশীলতার সাথে যুক্তিতর্ক ও কৌশলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সামর্থ রাখেন, তেমনি মধ্যমপন্থিদের নিজ দলে ভিড়াতে ছাত্রাবাসে থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রচার ও প্রচারনায় সময় পার করতেন। পড়ালেখায় পাঠ চুকিয়ে যখন সাধারণত মানুষ চাকরির পিছনে ছুটে বেড়ায় তখন তিনি ছুটে এসেছেন প্রত্যন্ত গ্রামে। তার মতে মেধাবীরা যদি গ্রামাঞ্চলে না থাকে তাহল গ্রাম বাংলার উন্নয়ন সম্ভব নয়। পাশাপাশি রাজনীতিতে পেশীশক্তির চাইতে মেধাভিত্তিক রাজনীতির স্থায়ীত্ব দীর্ঘস্থায়ী। এবার উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটিতে কবিরকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ পোস্টারে ছেয়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কিছু দিন মুক্তাগাছার বাইরে থাকার কারণে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী ও এলাকাবাসীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যত্যয় ঘটে। মূলত সকলের সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি স্থাপনের লক্ষ্যেই একাজটি করা।
মুক্তাগাছা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে জন্ম নেয়া কবির একান্ত স্বাক্ষাতকারে বলেন-আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি শুরু করার পর থেকে দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় বিভিন্ন সংগঠনের অনেক পদে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হওয়া একটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের অনুভূতি। কারণ এর আগে কাজ করেছি সারা দেশব্যাপী। এবার শুধুমাত্র আমার নিজের উপজেলার জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেটা আমার পরম আরাধ্য আর এজন্যই আমি রাজনীতি করি। এই প্রিয় মুক্তাগাছা আমাকে অনেক দিয়েছে। মুক্তাগাছার মাটি ও মানুষের কাছে আমার ঋণ সীমাহীন। এবার আমার দেওয়ার সময় ও সুযোগ হয়েছে। আমার প্রিয় মুক্তাগাছার জন্য এখন আমি কিছু করতে চাই।
মুক্তাগাছা হবে বাংলাদেশের মধ্যে একটা আদর্শ উপজেলা।
সবার আগে আমি মুক্তাগাছা উপজেলা বাসীর মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে চাই, যেন তারা সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারে। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে কারও অপ্রত্যাশিত হস্তক্ষেপ ছাড়া।
দ্বিতীয় স্তরের কাজ হলো ঐতিহ্যবাহী মুক্তাগাছার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা। জমিদার আমলের বিশাল স্থাপনা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক নান্দনিক মন্দির, বিশালাকার দিঘী ও পুকুরের সংস্কার করে মুক্তাগাছার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলা।
আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘরে তোলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
কারণ যথার্থ শিক্ষাই সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করে সকলের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ও বেকার সমস্যার সমাধান করা।
সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ক্রীড়া সংগঠন গড়ে তোলা যেন তরুণ প্রজন্ম মাদকের ভয়াল থাবা, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাঙ্,বাল্যবিবাহ, যৌতুক গ্রহণ ও প্রদানসহ সামাজিক অসংগতি নিরসনে জনস্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ করাই আমার পাথেয়।
মুক্তাগাছার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কৃষি নির্ভর অর্থনীতির পাশাপাশি শিল্পায়নের পরিবেশ সৃষ্টি করে বড় বড় বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা।
কৃষি, মৎস্য, গবাদি পশু ও পোল্ট্রি শিল্পের আরো বিকাশের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া।
কৃষকের শস্য মজুদের জন্য আধুনিক শস্য গুদাম নির্মাণ করা।
শহর ও বাজার এলাকায় যানজট নিরসন করাসহ চাঁদাবাজি , দখলবাজি বন্ধ করা।
আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য সহজলভ্য করতে অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা। এটা আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। কারণ মুক্তাগাছার মানুষের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আমাকে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয়।
সবশেষে সামাজিক বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা আনয়ন করা। সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও জুলুমের শিকার থেকে মুক্ত করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমার স্বপ্ন। পরিশেষে মুক্তাগাছার সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।

Don`t copy text!