ফরিদপুর জেলা শাখা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাড়া না দেয়া, তথ্য গোপন সহ অবৈধ ভাবে প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগ করেছন ভবনটির কৃতপক্ষ।
অভিযোগে জানা যায়, ফরিদপুর সদর হোল্ডিং নং ১৫৩ রঘুনন্দনপুর, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ রোড প্রঙ্গনে দিলু প্লাজা ভবনটিতে দীর্ঘ ৬ থেকে ৭ বছর যাবদ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কার্যলয় হিসাবে অবস্থান করছে।
তবে ভবনটির কৃতপক্ষকে গত ৭ থেকে ৮ মাসের ভাড়া না দিয়ে কোন ধরনের চুক্তি না করে অবৈধ ভাবে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে চলছে ব্যাংক ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানা।
জানা যায়,প্রবাসী কল্যান ব্যাংকটির সাথে ভবন কৃতপক্ষের চুক্তি মেয়াদ শেষ হয় ২৮/০২/২০২৩ ইং তারিখে। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান ব্যাংকের পরিচালনা পর্যন সচিবালয় প্রধান কর্যালয় থেকে ০৯/০৩/২০২৩ তারিখে পুনরায় ৩ বছরের জন্য নতুন করে ভবনের মালিকের সাথে নবায়ন করার লক্ষে ফরিদপুর জেলা শাখার ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানাকে নোটিশের মাধ্যমে নির্দেশ প্রধান করেন।
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাহমুদা নোটিশের নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী ভবনটির কৃতপক্ষের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করে এবং নোটিশের তথ্য গোপন করে, অবৈধ ভাবে ভবনটিতে অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ করেন ভবনটির কৃতপক্ষ।
ভবন কৃতপক্ষ বলেন, সরকারী ষ্টামে চুক্তি নামায় লেখা অনুযায়ী ভবন ভাড়া মাস শেষে ৭ তারিখের মধ্যে একাউন্টে মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে এবং যখন ব্যাংক ভবনটি ছেড়ে চলে যাবেন ব্যাংকের দেয়া অগ্রিম টাকা ব্যাংকের একাউন্টে পরিশোধ করতে হবে,কোন মতেই কারো হাতে দেয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন কোন প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার তিনমাস আগে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিককে অবগত করতে হয়, তবে মাহমুদ সুলতানা সেটা না করে। নিজের মত করে একটি নোটিশ দিয়ে জানায় ভবনটি ছেড়ে দিবেন এবং ব্যাংকের কার্যক্রম অন্য জায়গায় হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিনিধি এসে ভবনটি ভিজিট করে সব কিছু দেখে শুনে ব্যাংকের ১০১তম সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন করে ভবনটি নবায়ন করার জন্য ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানাকে নোটিশের মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করা হলে ও তিনি সেটা না করে নোটিশ গোপন করে ব্যাংকের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই ব্যাপারে ফরিদপুর ব্যাংকের দায়িত্বরত জি এম এর সাথে ভবনটির মালিকের কথা হলে, তিনি ব্যাংক ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানাকে নিদের্শ দেন বিষয়টি ঠিক করার জন্য তবে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানা সেটা অমান্য করে নিজের স্বজনপ্রীতি বজায় রাখার জন্য নিজের আত্মীয় এর বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগে করেন।
এ বিষয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাহমুদা সুলতানা সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভবন মালিক বিদেশে থাকার কারনে তার সাথে কোন চুক্তি করার সম্ভব হয়নি তবে তার স্ত্রীকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।
কোন ধরনের নবায়ন না করে বিগত ৭/৮ মাস ভবনটিতে অবস্থান করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই ব্যাপারে ব্যাংকের হেড অফিস জানে। আমি কিছু বলতে পারবো না।
ভাড়া না দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না পারার কিছুই নেই, ভবন মালিককে বলা হয়েছে ব্যাংকের অগ্রিম টাকা থেকে ভাড়া কেটে দেয়া হবে, সেটা ভবন মালিক না নিলে আমি কি করবো।
আমাকে হেড অফিস যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে আমি সেই ভাবে কাজ করে চলছি। যদি ভবনটির কৃতপক্ষের কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি আমার হেড অফিসে সাথে কথা বলতে পারেন।
ভবনটি ছাড়া বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন
হেড অফিসের নির্দেশনায় এই কাজ হচ্ছে তাছাড়া ব্যাংকের কমার্শিয়াল কর্মকান্ড করার জন্য এই ভবনটি উপযুক্ত না। নিজের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় স্বজনরপ্রীতি ধরে রাখার জন্য ব্যাংক অন্য জায়গায় হস্তান্তর করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ কথাটি সঠিক না, আমি যা করছি হেড অফিসের নির্দেশে করছি।
এই বিষয়ে ব্যাংকের ফরিদপুর জোনের দায়িত্বরত এ জি এম আররাম হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।