নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় মুক্তি রানী (২৫) নামের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দেবর, তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মুক্তি রানী উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের হাসুডাঙ্গা গ্রামের বিপ্লবের স্ত্রী।
গৃহবধূর বাবা শুক্রবার মেয়ের দেবর সুফল মালি (২৮) ও তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুর বলাই মালির (৭৫) বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর আগে বিপ্লব ও মুক্তি রানীর বিয়ে হয়। এর পর থেকে সামান্য বিষয়েও দেবর ও শ্বশুরের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হতো। একাধিকবার গ্রাম্য সালিশেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। পরে মুক্তি রানী ও তাঁর স্বামী বাড়ির মাঝে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে আলাদা হয়ে যান। তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
মুক্তি রানীকে গালাগাল করলে বিষপান করেন তিনি। তাঁর স্বামী খবর পেয়ে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
মুক্তির বাবা অনাথ মালিক বলেন, মেয়ের জামাই ভালো হলেও তাঁর শ্বশুর, দেবর ও তার স্ত্রী সব সময় মানসিক অত্যাচার করত। মুক্তির ৯ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তাদের অত্যাচারেই মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে