রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সালিশে নিজের পেটে চাকু ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হামিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক।
স্থানীয়রা জানান, হামিদুল এক বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি ঢাকা শহরে তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং সেখানে একটি ছোট্ট মুদির দোকান করতেন। কিছুদিন আগে তার চাচাতো ভাই রুবেল মিয়াকেও তার দোকানের পাশে থাকা একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে দেন। কিছুদিন দোকান করার পর লোকসান হয়েছে জানিয়ে রুবেল ব্যবসা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কিন্তু দোকান ছাড়তে হলে হামিদুল তিন মাসের ভাড়া দাবি করেন রুবেলের কাছে। হামিদুলের মুখে এ কথা শুনে রুবেল শুক্রবার সকালে তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।
রুবেলের বাড়ি যাওয়ার খবর শুনে হামিদুলও ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়িতে আসেন এবং রুবেলের কাছে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাদের পরিবারের লোকজন শুক্রবার সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকে বসেন। এ সময় হামিদুল ও রুবেলের বাবা পরামর্শ করে তিন মাসের দোকান ভাড়া ১২ হাজার টাকা হামিদুলের হাতে তুলে দেন। কিন্তু হামিদুল ১২ হাজার টাকা না নিয়ে ৮০ হাজার টাকা দাবি করে রুবেলকে চাপ দিতে থাকেন।
রুবেল ৮০ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হামিদুল তার কোমরে থাকা চাকু হাতে নিয়ে রুবেলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন হামিদুলকে বাধা দিয়ে তার হাতে থাকা চাকুটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন হামিদুল তার হাতে থাকা চাকু নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেন। তাকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তিনি মারা যান।