চাকুরীজীবিদের মৌলিক অধিকার বদলী, এমপিও নীতিমালায় স্পষ্ট বদলী ব্যবস্থার কথা। উল্লেখ থাকলেও প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজারের অধিক বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের ( এমপিও ভুক্ত)। বদলী ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান শিক্ষক মো: আলা উদ্দিন ভূইয়া তাঁর অবিভক্তি প্রকাশ করে, তিনি বলেন। সারাজনম একই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা অনেকটা বন্দী জীবনের মতো, খুবই বেদনাদায়ক। বিশেষ করে দূরের শিক্ষকদের জন্য তা অসহনীয়। তাছাড়া শিখন-শিক্ষণে গতিশীলতা এবং বৈচিত্র্যতা আনয়নে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন একটি মূখ্য উপায়। আসলে বদলি ছাড়া চাকরি যেন লবন ছাড়া তরকারি।
আগে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষকদের ইচ্ছে করলে ইনডেক্স বজায় রেখে পছন্দমতো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগলাভের সুযোগ ছিল। সম্প্রতি এনটিঅারসিএ এ নিয়ম রহিত করেছে। এখন আর সে সুযোগ নেই। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারি প্রধানরা এ সুযোগ পেলেও সহকারি শিক্ষকরা একেবারেই বঞ্চিত। অর্থ্যাৎ চাকরি যেখানে শুরু সেখানেই শেষ। এ এক অদ্ভুত নিয়মের যাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সহকারি প্রধানরাও উচ্চহারে নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে এ সুযোগ নিতে পারছেন না। এতে করে শুধু শিক্ষকরাই যে বঞ্চিত তা নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোও যোগ্য শিক্ষক পাচ্ছে না। ফলে সর্বস্তরের এমপিও শিক্ষকদের মনে চরম হতাশা বিরাজ করছে এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হলেও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা এনটিআরসি’র অধীনে আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দিতে দাবি জানিয়ে আসছেন।
তাদের এ দাবিটিও যৌক্তিক। তবে এক্ষেত্রে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক পেলেও অধিকতর দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক শুণ্যতায় ভূগবে। তাই আমি মনে করি জাতীয়করণই এক্ষেত্রে মহৌষধ। জাতীয়করণ হলে শিক্ষকরা বিধিমোতাবেক বদলির সুযোগ পাবেন।