পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আপন দুই ভাইসহ কয়েকজন মুসল্লির নামে চাঁদাবাজি মামলা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। ২০৯.০৯.২৩ইং তারিখ রোজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভরিপাশা গ্রামের হাজী কোরবান আলী জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
হয়রানি মুলক, মিথ্যা, চাঁদাবাজি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং মসজিদের মুসল্লি মো. গিয়াস উদ্দিন, খলিল খান, আল-আমিন, সাইদুল, আফজাল হাওলাদার, মনির আলম, ফিরোজ আলম ও মহিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, ঢাকার দোহারের সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনির আলম ২০১৫ সাল থেকে মসজিদের সভাপতির পদে রয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মসজিদ উন্নয়ন অনুদানের কথা বলে কয়েকজন মুসল্লির স্বাক্ষর নেন মনির আলমের আপন ভাই কলিশুরী ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মাহবুব আলম। এনিয়ে মাহবুব আলমের সাথে মুসল্লিদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে গত ৮ জুন পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আলম, তার আপন দুই ভাই মনির আলম ও মহিরুল ইসলামসহ ৫জনের বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন। মামলার অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনার দিন আসামিরা এলাকায় ছিলেন না। তবুও তাদের আসামি করা হয়েছে। আদালত বাদির অভিযোগ আমলে নিয়ে পিআইবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে চাঁদাবাজি মামলার প্রতিবাদে মুসল্লিদের মানববন্ধনে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন মাহবুব আলম ও তার সহযোগী দুলাল হাওলাদার। এসময় তিনি মানববন্ধনে অংশ নেয়া মুসল্লি ও সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে মাহবুব আলমের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।