কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৪ বছরের এক শিশুকে বলৎকারের ঘটনায় শফিকুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলিয়ারচর থানার এস আই মো. মহবুবুর রহমান পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে কুলিয়ারচর উপজেলার মধ্য সালুয়া গ্রামস্থ অভিযুক্তের খালার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। শফিকুল ইসলাম কুলিয়ারচর উপজেলার মেরাতলী গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে।
বলাৎকারের শিকার শিশুর দাদী, পিতা ও চাচা এ প্রতিনিধির সাথে বলেন, গত ২১সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শিশুটি ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পার্শ্বে একটি দোকানের দিকে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির জারু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৬) শিশুটির হাতে একটি ১০ টাকার নোট দিয়ে লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বাছির মিয়ার বাড়ির নামায় একটি ঝোপে নিয়ে বলৎকার করে। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে শফিকুল ইসলাম দৌড়ে পালিয়ে যায়। ব্যাথার যন্ত্রনায় শিশুটি গুজা হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে দাদী ও মায়ের নিকট এ ঘটনা খুলে বলে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে নিয়ে শফিকুল ইসলামের বাড়ি গিয়ে শফিকুল ইসলামের মায়ের নিকট এবিষয়টি খুলে বলেন ও রক্ত ঝড়া অবস্থায় শিশুটির পায়ুপথ দেখান।
পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে শিশুর স্বজনরা ওইদিন সকালে শিশুটিকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেন। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরো উন্নয়নের চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালের বিচানায় ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।
এঘটনায় ওইদিন শফিকুল ইসলামের বড় ভাই নূরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এঘটনায় শিশুর পিতা শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ১৫।
এব্যাপারে অভিযুক্ত কিশোর মা সাফিয়া বেগম (৫০) বলেন, তার ছেলে শফিকুল ইসলাম ওই শিশুটিকে বলৎকার করেছে এমন অভিযোগ নিয়ে শিশুর মা তার নিকট এসেছিলো। শিশুর বায়ুপথ দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে দেখেছেন তিনি। তার ছেলে এঘটনাটি ঘটিয়ে অন্যায় করেছে বলে জানান।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে।
ক্যাপশান: অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম (১৬)