গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার ইছালীতে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট (জোন-৭) জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিলে বালু ভরাট বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিউজ সংগ্রহে অভিযানের তথ্য জানতে যুগান্তর গাজীপুর মহানগর প্রতিনিধি মোবাইলে ফোন দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। ফোন কেটে দিলে তিনি পুনরায় ফোন করে একের পর এক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেই থাকেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূবাইলের ৪০নং ওয়ার্ডের ইছালী বিলে বালু ভরাট বন্ধে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলাম ও মাহমুদা শাহরীন মাধবীর তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে বালু ভরাটে জড়িত আবির নামে একজনকে জেল-জরিমানা, দুটি ড্রাম ট্রাক ও একটি ভেকু জব্দ করে; কিন্তু কত মাসের জেল ও কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
বুধবার সকালে ২০তম বিসিএস ক্যাডার গাজীপুর সিটির কোনাবাড়ি ৭ নম্বর জোনের নির্বাহী অফিসার জহিরুল ইসলামকে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে ফোন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
যদিও মঙ্গলবার বিকালে কোন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন সেটা প্রতিবেদককে বলতে পারেননি; তবে তথ্য জানেন না কেন উলটো প্রশ্ন করে বলেন- কিসের সাংবাদিকতা করেন? একটা ক্যামেরা হলেই সাংবাদিক হওয়া যায় না। বালু ভরাটকারীর কাছ থেকে কত টাকা খাইছেন?
গালিগালাজ করায় তথ্যের প্রয়োজন নাই বলে ফোন রেখে দিতে চাইলে তিনি বলেন, দুই টাকার সাংবাদিক ফোন করেছেন কেন?
তিনি বলেন, ১৫ বছর প্রমোশন হয় না সেটা লেখেন না কেন?
কটু ও খারাপ ভাষা ব্যবহার করছেন কেন? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সামনে আসলে আরও খারাপ হবে (কুৎসিত অকথ্য ভাষায় অবিরাম গালিগালাজ করার ভাষা প্রকাশ করা যাবে না)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিও) সফিউল আজম বলেন, আমাকে অডিও দেন; আর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমার কোনো কিছু করার এখতিয়ার নাই।
মোবাইলে গালিগালাজের অডিও রেকর্ড পাঠিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখব।