ঝালকাঠি জেলা পুলিশ এর ট্রাফিক পুলিশ শাখার জেলা ট্রাফিক পুলিশের বিতর্কিত পরিদর্শক ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) হাবিবের বদলিতে জনমনে স্বস্তি। গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ সম্পন্ন হলেও শুক্রবার ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থেকে তাকে সড়িয়ে নেয়া হয়। জেলা পুলিশের ডি-ষ্টোরের দায়িত্বে ন্যাস্ত করে তাকে ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘদিনধরে মুর্তিমান আতংকের নাম ছিলো টিআই হাবিব। জেলা ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধামকিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেলো পরিবহন ও মটরসাইকেল চালকরা।
জেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল-সন্ধ্যা নানা অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের গাড়ী আটক করে টিআই হাবিব নিজেই। মোটরযান অপরাধ আইন অনুযায়ী যানবাহনে ত্রুটি বা চালকের অপরাধ হলে পজ মেশিন দিয়ে ঘটনাস্থলেই মামলা দেয়ার বিধান ধাকলেও হাবিবের বিধান ছিলো ভিন্ন। তিনি ধরন বুঝে মোটর সাইকেল ধরে ঘটনাস্থলে ব্যবস্থা না নিয়ে বাইক আটক করে নিয়ে যায় তার কার্যালয়ে সদর পুলিশ ফাঁড়ির অভ্যন্তরে লুকিয়ে রাখা হয় সেই গাড়ি। পরে সুযোগ বুঝে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে সেই গাড়ি। বেশ কিছুদিন অনুসন্ধান করে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রমান মেলে হাবিবের অর্থ বাণিজ্যের এসব চিত্র।
সম্প্রতি ঝালকাঠি পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে হাবিব সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে থাকেন। আর এই তথ্য টিআই হাবিব বুঝতে পারায় কমে যায় হাবিবের অবৈধ বাণিজ্য।
মোটর সাইকেল আটক বানিজ্য ছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস, পার্সেল পরিবহন, কাভার্ড ভ্যান, টমটম, অটো রিক্সা ইজিবাইক এবং ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস থেকেও নিচ্ছে নিয়মিত মাসোয়ারা। এতে গাড়ি মালিকরা রীতিমত যেভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে, তেমনি পরিবহণ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলারও উপক্রম দেখা দিয়েছে। টিআই হাবিবের বদলির এমন সিদ্ধান্তে পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস ছেড়েছে যানবাহন চালক ও সংস্লিষ্টরা।
এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাফিক পুলিশের অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর মো: হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ সুপার বেশ কিছুদিন ধরে আমার উপর অসন্তুষ্ট, তার কাছে কেউ হয়তো বলেছে আমি অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করি। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে টিআই থেকে ডি-ষ্টোরে বদলীটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। আমি ওখানে বেশ প্রেশানিতে থাকতাম।
এ বিষয় ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আফরুজুল হক টুটুল গণমাধ্যমকে জানান, টিআই হাবিবের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ ছিল সেই অভিযোগের তদন্ত সত্যতা পাওয়া গেছে তাই তাকে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। আরো কিছু অভিযোগ এখনো চলমান রয়েছে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মোটেও সত্য নয়।