পুলিশই জনতা,জনতাই পুলিশ,
এ স্লোগানকে সামনে রেখে
এ মূলমন্ত্রের ভিত্তিতেই কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ এবং জনগণ এই দেশের মালিক।
গত ২৬ আগষ্ট রোজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ওয়ারী বিভাগের কার্যালয়ের সামনে থেকে কমিউনিটি পুলিশিং ও ঢাকা ওয়ারী বিভাগের সকল কর্মকর্তাসহ একটি র্যালি বেরহয়।র্যালিটি গোলাপবাগ ধলপুর কমিটি সেন্টার সামনে শেষ হয়ে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ওয়ারী বিভাগ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(শ্যামপুর জোন)মোঃ আলাউদ্দিন,সহকারী উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ নুর-নবী,আরো উপস্থিত ছিলেন,শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম,ইন্সপেক্টর তদন্ত মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহে প্রথম কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু হয়। এর পরের বছর ঢাকা মহানগরীর দুটি থানায় নতুন এই ধারণা নিয়ে কাজ শুরু হয়। আর ২০০৫ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় পুলিশ সংস্কার কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই গণমুখী পুলিশি ব্যবস্থা।
ঔপনিবেশিক ধাঁচে গড়া বাংলাদেশের পুলিশ। দেশের অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ আইনের মতো পুলিশ এ্যাক্ট কিংবা পুলিশ রেগুলেশনস অব বেঙ্গল ব্রিটিশদের তৈরি করা যা দিয়ে পরিচালিত হয় পুলিশ। ব্রিটিশদের লক্ষ্যই ছিল কীভাবে উপমহাদেশের স্বাধীনতাকামী জনগণকে দাবিয়ে রাখা যায়। তাই শাসকগোষ্ঠী পুলিশকে চিন্তা করেছে পুলিশ ফোর্স হিসেবে, পুলিশ সার্ভিস বা সেবা হিসেবে নয়। শাসকগোষ্ঠীর এই ধরণের চিন্তা চলমান ছিল পাকিস্তান কিংবা স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশেও। কিন্তু সময়ের সাথে পরিবর্তন আসছে পুলিশেও। চেষ্টা চলছে আরো গণমুখী বাহিনী হিসেবে পুলিশকে কীভাবে গড়ে তোলা যায়। তারই দুটি প্রচেষ্টা মানবিক পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং।
তবে কমিউনিটি পুলিশের শুরু আরো আগে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশির দশকে যখন পুলিশের সহিংস আচরণের কারণে জনগণের মাঝে পুলিশের উপর বিশ্বাস কমে যাচ্ছিল, তখনই আলোচিত হয় কমিউনিটি পুলিশ ধারণাটি। তবে এর আগে ১৮২৯ সালে আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থার জনক ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার রবার্ট পিল গণমুখী পুলিশ বিষয়ে বলতে গিয়ে পুলিশই জনগণ, জনগণই পুলিশ ধারণাটি নিয়ে আসেন। যার উপর ভিত্তি করে আজকের কমিউনিটি পুলিশিং ধারণা প্রতিষ্ঠিত।
তাই প্রতি বারে ন্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ওয়ারী বিভাগের) আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং
সভা ও সমাবেশ করেন।
উক্ত সভা ও সমাবেশের প্রধান অতিথিঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনু,সংসদ সদস্য ঢাকা-০৫।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি করেন জনাব মোঃ জিয়াউল আহসান তালুকদার( ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার(ওয়ারী বিভাগ ঢাকা) তিনি
রাজারবাগের কথা স্বরণ করে,বলেন মানুষের সেবার মতো মহত কোন কাজ নেই,তাই পুলিশ সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে কমিউনিটি পুলিশিং সভা সমাপ্ত করেন।