রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের (ইউপি) সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সচেতন মহলেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউপির মানবিক চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলকে নিয়ে মানহানিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করায় ইউপিবাসীর মধ্যে এসব ক্ষোভ-অসন্তোষ ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গোদাগাড়ীর ইতিহাসে সব থেকে কম বয়সে সব থেকে বেশী ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি তরুণ উদ্যোগক্তা ও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে একাধিকবার রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ট করদাতা হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছেন। আগামিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি ভাল জায়গায় তার অবস্থানের উজ্জ্বল সম্ভবনার পাশাপাশি সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। তবে বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছে না।অনেকের পদ বা নিজস্ব অবস্থান হারানোর শঙ্কায় বেলালবিরোধী প্রচারণায় ইন্ধন দিচ্ছে। তাদের ইন্ধনে একশ্রেণীর গণমাধ্যম কর্মীরা বেলালের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান বেলালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঙ্খাপন করা হয়েছে সেই অভিযোগগুলো বেলালের সঙ্গে মানায় না। বরং যারা এসব অপপ্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ রয়েছে। তাদের অবস্থান ও বেলালের অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই প্রমাণ হবে। তাদের করা অভিযোগ কাদের নামের সঙে মানায়। ইতমধ্যে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে লাখ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও এলাকার স্কুল-কলেজ মসজিদ,মাদরাসা, মন্দির,গীর্জা ইত্যাদির উন্নয়নে আর্থিক অনুদান প্রদান ও অসুস্থদের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিয়ে বেলাল উদ্দিন সোহেল সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
সম্প্রতি “রাজাবাড়ীহাট সংস্কার ও জায়গা বরাদ্দের নামে চাঁদা তোলার অভিযোগ” শিরোনামে ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দীন সোহেলকে জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে
দেওপাড়া ইউপির দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সচেতন মহলের অভিমত যেখানে এখানো তিনি প্রতি কার্যদিবসে বিভিন্ন এলাকার অসহায়-দরিদ্রদের ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। সেখানে হাট সংস্কার বা জমি বরাদ্দের নামে ১০-১৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করবেন এটা কি বিশ্বাসযোগ্য না তার নামের সঙে মানায়। তিনি তো চেয়ারম্যান হবার অনেক আগে থেকেই এলাকার মসজিদ-মাদরাসা ইত্যাদির উন্নয়নে এবং সমাজের অসহায় দরিদ্রের লাখ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছেন। বরং যারা তার বিরুদ্ধে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করলে চাঁদাবাজিসহ নানা কেচ্ছা-কাহিনীর সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করেন। এবিষয়ে দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, যারা এসব বলছে তা সঠিক নয়। কারো কাছে কোন টাকা পয়াস নেইনি। আমার জানামতে এর আগের এসিল্যান্ড ও তহসিলদার সেখানে গিয়েছিলো। আমি এসব কাজে জড়িত থাকি না সেটা সবাই জানে। কারো জায়গা দখল করেছি এমনটাও নজির নেই। আমি জেলার সর্বোচ্চ আয়করদাতা হিসেবে পুরুস্কৃত হয়েছি।