নওগাঁর মান্দায় পর-পুরুষসহ পুলিশের স্ত্রীকে স্থানীয় জনতারা হাতেনাতে আটক করছে। আটকের পর তাদেরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ওই যুবকসহ পুলিশের স্ত্রীকে মান্দা থানায় সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে। এ ঘটনাটি ঘটে থানা সংলগ্ন দোসতি এলাকার নওশাদের ছেলে পান্নার বাড়িতে।স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, মান্দা থানার সাবেক পুলিশের উপপরিদর্শককে বশীকরণে নামে রাতে ওই কবিরাজকে ডেকে নেন তার স্ত্রী। পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িতে না থাকার সুবাদে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞেসাবাদ করেন।
জিজ্ঞেসাবাদে কবিরাজ স্বীকার করে বলেন, আমি পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করে বীর্যপাত ঘটনোর পর সেই বীর্য দিয়ে বশীকরণ ঔষধ তৈরি করার জন্য আসছি। তবে তাদের মেলামেশা হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। কবিরাজ পরিচয়দানকারী আটককৃত যুবক আবু বক্কর সিদ্দিক বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দনবাড়ী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য জিন্না বেগম জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঘরে প্রায় প্রায় বিভিন্ন লোকজন যাওয়া আসা করতো। স্থানীয়রা অনেকদিন থেকে বিষয় গুলো অনুভব করে আসছিলেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তার বউ হওয়ায় বিষয়টি এড়িয়ে চলতো।
রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বগুড়া থেকে আগত কবিরাজকে রিসিভ করে ঘরে প্রবেশ করলে স্থানীয়রা বাড়িওয়ালাকে জানিয়ে তাদের শয়ন ঘর থেকে আটক করেন। পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে নীলফামারী জেলায় কর্মরত আছেন বলে জানাগেছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, যেহেতু এসআইয়ের স্ত্রীর নিকট খারাপ উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিলেন। সেহেতু এ ঘটনায় ১৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে কবিরাজকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এবং ঐ মহিলাকে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ।