পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় গণভবনে তৃণমুলের বর্ধিত সভায় বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তাঁর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মিদের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী আলমগীরা
১২.০৮.২৩ইং তারিখ রোজ শনিবার সকালে জনতা ভবন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষির্কীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থাণীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ এমপি’র সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, নীপিড়নের বিষয়ে গণভবনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সত্য ঘটনা উল্লেখ না করে কোন পক্ষ হয়ে বক্তব্য দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী আলমগীর দলকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে। অথচ বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের দুর্গ গড়েছেন আ.স.ম ফিরোজ এমপি।
স্বাধীনতার পর থেকে এখানে আওয়ামীলীগ জয়ী হয়ে আসছে। আ.স.ম ফিরোজ জনগণের ভোটে ৭বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগ অত্যন্ত সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। তারপরেও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নেত্রীর সামনে বাউফল আওয়ামীলীগ নিয়ে যা বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন তা নিন্দনীয়।
তিনি এমন মন্তব্য দিতে পারেন না। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজের নেতৃত্বে দলকে সুসংগঠিত করে আসছি। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী আলমগীর এক সময় ত্যাগী নেতা ছিলেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে ত্যাগী শব্দটা আর নেই। এখন হয়েছেন তিনি বিভিন্ন বিশেষনে বিশেষিত। জেলা সভাপতির এমন মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিও তুলেন নেতাকর্মীরা।
পটুয়াখালী জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি বগা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি তাকে একাধিকবার অভিযোগ করেছি, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হত্যা একাধিক মামলার আসামী ছিলাম, বগা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল খাঁনকে পিটিয়ে কুপিয়ে হাত পা বিছিন্ন করেছে। যুবলীগ নেতা মালেক মীরকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোর দখল করে বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছে। এর প্রতিকার করুক। দলের বদনাম হচ্ছে। কিন্তু কর্ণপাত করেননি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী আলমগীর।
অথচ সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন গণভবনে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে দলের শিষ্টাচারকে ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, দলীয় সভানেত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কারণ দলীয় কোন্দলে পাঁচ-ছয়টি দলীয় নেতাকর্মীর প্রাণ ঝড়ে গেছে। এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে জানান। এ সভায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সভাপতি সম্পাদক এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০জন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৬ আগষ্ট গণভবনে সারাদেশের তৃণমুল কর্মীদের সাথে বর্ধিত সভায় কাজী আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব মিলিয়ে ভালো আছি। কিন্তু বাউফল আওয়ামীলীগ নিয়ে ভালো নেই। সেখানে সভাপতি সম্পাদকের দ্বন্দ্ব চলছে। এ দ্বন্দ্বে তৃণমুলের পাঁচ ছয়টি প্রাণ ঝড়ে গেছে বলে সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ।