মো: আতাউর রহমান সরকার: প্রফেসর ড. শামসুল আলম গত শতাব্দীর মধ্য ষাটের দশকে যখন তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তখন বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলন দানা বাঁধছিল। পূর্বপাকিস্তান স্বায়ত্তশাসনের আইউববিরোধী দাবি সংবলিত ছয় দফার আন্দোলন ১৯৬৬ তে তীব্রতা পায়,ছাত্র জনতার আন্দোলন ক্রমান্বয়ে ১৯৬৯ সনের দিকে ক্রমান্বয়ে রুপ নিতে থাকে। ইতিমধ্যে ১৯৬৬-১৯৬৭ শিক্ষা বর্ষে ড. আলম পূর্বপাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান- শেখ নুরুলহুদা প্যানেল জয়ী হয়েছিল। বের করেন সাহিত্য- পত্র “মঞ্জুরী” সম্পাদনা করেন প্রতি বছর একুশে “স্মরণিকা ” একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি থানা সংগ্রাম কমিটির সদস্য হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে ট্রেনিং এর ব্যবস্হা করেন এবং এক পর্যায়ে মুজিব বাহিনীর থানা উপ অধিনায়ক (রাজনীতি) হিসেবে মুজিব বাহিনী গঠন করে ও এর রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন সুত্র: আব্দুর রাজ্জাক,(আব্দুর রাজ্জাক ১৯৬৮ শামসুল আলমের শিক্ষক ছিলেন) অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক ভাষা বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় । প্রফেসর ড. শামসুল আলম ছাত্রথাকাবস্হায় আইয়ূববিরোধী গণঅভ্যুথত্থানে প্রতিবাদ মিছিল মিটিংয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।১৯৬৯-৭০ সনে আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের শাখা প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখেন। ১৯৭০ সনের সাধারণ নির্বাচনে তরুণ ছাত্র নেতা হিসেবে মতলবে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর অনুকুলে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন এবং নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে মতলবে মুুজিব বাহিনীর থানা সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন ( মতলব উত্তর,প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সরকার,সাবেক উপাচার্য যশোহর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র গ্রহণ করেন (৩১ ডিসেম্বর ২০২০ মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎ কার)।১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ছাত্রলীগের ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতা ও ধারাবাহিকতায় ১৯৭৩ সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য অন্তর্ভুক্ত হন। যার সভাপতি ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুর রশিদ।
২৪ মে ২০২২ তারিখ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
এর উপদেষ্টা পরিষদের সন্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২২ এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে প্রণীত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধনী দুটি কমিটিতে সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব শামসুল আলম মোহন স্যারের নানার বাড়ি কুমিল্লা জেলার বর্তমান মেঘনা উপজেলার সোনারচর গ্রামের মুন্সিবাড়ি। তাঁর নানার নাম মরহুম ওয়াহেদ আলী মুন্সি। ওয়াহেদ আলী মুন্সি এলাকায়,সন্মানিত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পাকিস্তান আমলে নির্বাচিত স্হানীয় সরকারের প্রেসিডেন্ট / চেয়ারম্যান ছিলেন। ওয়াহেদ আলী মুন্সির ভ্রাতা আব্দুর রব মুন্সি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। যার কথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর তাঁর “অসমাপ্ত আত্নজীবনীতে” উল্লেখ করেছেন।
গবেষণা শিক্ষকতা ও সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ে চর্চার পাশাপাশি ড. শামসুল আলম মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের একজন ধারক বাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন
আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামীলীগপন্থী (১৯৯৮) শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। আর সভাপতি ছিলেন ড.মো. মাহবুবুল করিম স্যার সূত্র: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগ- কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ।
সাহিত্য,সংস্কৃতি, রাজনীতি, ও সাংবাদিকতা সকল ক্ষেত্রেই ছাত্রজীবন থেকে তাঁর বিচরণ ছিল স্মরণীয় প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, উপাচার্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ।