মীরসরাই উপজেলায় সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয় ” দুর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়” যেটি ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশে আলোর দ্রুতি ছড়াচ্ছে শতবছর ধরে। ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা একাধিক জিপিএ -৫ সহ শতভাগ পাশের স্বাক্ষর রেখেছিল। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায়ও একাধিক জিপিএ ৫সহ শতভাগ পাশের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এবার ৮৫ জন পরীক্ষায় সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে।
মীরসরাইয়ে এসএসসিতে পাশের হার ৮৫.১৪% দাখিলে ৮০.১৮% এবং ভোকেশনাল ৯৩.৫৪%। এবার উপজেলায় ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় ৩টি স্কুল শতভাগ পাশ করলেও উপজেলায় ২৬টি মাদরাসা কেউ শতভাগ পাশ করতে পারে নাই।
উপজেলার ৪৭টি স্কুল থেকে ৫৫৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৭৪২ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। দাখিলে ২৬টি মাদ্রাসা থেকে ১০৫৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে। ভোকেশনাল থেকে ৬২জন পরীক্ষা দিয়ে ৫৮জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
উপজেলা ৪৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬টি মাদ্রাসা মধ্যে ৮টি স্কুল ও ২২টি মাদ্রাসা কেউ জিপিএ ফাইভ পাইনি।
দুর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী পরিষদের সভাপতি ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অজ পাড়া গায়ে মেধাবীদের বড়ই অভাব। তারপরও দ্বিতীয় বারের মতো শতভাগ পাশের জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ স্কুল সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দুর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাশে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ১৪ সালের পর আবারও শতভাগ পাশে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিবাবক ম্যানেজিং কমিটির সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান বলেন, করোনা সংকটে কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো লেখাপড়া করতে পারেনি। রেজাল্ট মোটামুটি ভালো হয়েছে। শতভাগ পাশ করা স্কুল ও ভালো রেজাল্ট করা শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিবো।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন বলেন, আমার সময়ে বার বার শতভাগ পাশ করেছে। ছাত্র শিক্ষক অভিবাবক সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল দুর্গাপুর স্কুলের শতভাগ পাশ। সবাইকে অভিনন্দন জানাই।