পাকিস্তানে হিন্দুদের নির্যাতন ও মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কর্তৃক ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান।
রঞ্জীত রায় চৌধুরী: বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে-এর নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে বসবাসরত সনাতনী সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক নির্যাতন ও মন্দির ভাঙ্গার প্রতিবাদে ৩০শে জুলাই রবিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন বরাবর প্রতিবাদ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। হাই কমিশনের পক্ষে পত্রটি গ্রহন করেন মোঃ জোবায়ের হোসেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের করাচিতে ১৫০ বছরেরও বেশি পুরানো মারি মাতা মন্দির ভেঙ্গে ফেলা এবং সিন্ধুর কাশমোরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের একটি উপাসনালয়ে হামলা হিন্দু মন্দির ধ্বংসের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারকে এই ঘটনাগুলির তদন্ত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অখিল মন্ডল, যুব মহাজোট এর সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে, মহানগর হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি রমেন কুমার হাওলাদার, সিনিয়র সহ সভাপতি মিঠুন ভট্টাচার্য শুভ, সহ সভাপতি বাপ্পি গোস্বামী। হিন্দু মহাজোটের উপস্থিত নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে জানায় পাকিস্তান এবং বিশ্বব্যাপী। ধ্বংস ও হামলা ধর্মীয় স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই উপাসনালয়গুলি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য ধরে রাখতে অপরিসীম ভুমিকা রাখছে। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা আরো বলেন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি সংগঠন হিসাবে, “বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট” এর নেতারা বলেন আমরা পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সকল উপাসনালয়গুলির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। একটি পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেখানে সম্প্রদায়গুলি বৈষম্য বা সহিংসতার ভয় ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় বিষয়ে অনুশীলন করতে পারে। তারা এ সময় হিন্দু মহাজোটের ‘মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে’ বলেন, পাকিস্তানে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে আগামীতে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।