টাঙ্গাইলের মধুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট করে গুরুতর আহত করায় মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছেন কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ভট্রপাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে শামছুল হক।
জানা যায় প্রতিবেশী হোসেন আলীর একটি ছাগল সামছুল হকের ফসলি জমিতে লাগে সে ছাগলটি তাড়িয়ে দিলে অন্যের জমিতে নেট জাল দিয়ে বেড়ায় আটকে যায়। সামছুল হক হোসেন আলীর বাড়ীতে সংবাদ দিলে তারা উদ্ধার করে ছাগলটি বাড়ীতে দিয়ে আসে।
এদিকে ছাগলটি রাতে মারা যায় বলে জানা যায়। ব্যাপারটি স্হানীয় ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেনকে জানালে সে সামছুল হককে ছাগলের ক্ষতি পুরন হিসবে ৬ হাজার টাকা হোসেন আলীকে দিতে বলে ঘটনাটি মিমাংসা করে দেন। শামছুল হক মেম্বারের কথামত টাকা দিতে চায়।
টাকা দিতে দেরী হওয়ায় এদিকে বিবাদী তায়েব আলীর ছেলে হোসেন আলী, ছেলে খলিল এবং তার সাথে আরও কয়েক জন নিয়ে ইসমাইলের ছেলে শামছুল হককে সোমবার সন্ধায় কুড়ালিয়া বাজার হতে বাড়ী ফিরার পথে বিবাদীদের বাড়ীর পার্শে নির্জন স্হানে একা পেয়ে তাকে লোহাড় রড, বাশের লাঠি দিয়ে বাইরাইয়া শামছুল হকের দুই হাত, একটি পা, মাজার হাড় ভেঙ্গে ফেলে।
তার ডাক চিৎকারে আহত সামছুল হককে অটো চালক আজিজ বাদশা এবং হোসেন,মিয়া সহ কয়েকজন এগিয়ে গেলে সামছুল হককে আহত অবস্হায় বিবাদীগন ফেলে রেখে যায়। আহত অবস্হায় তারা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য অটোযোগে মধুপুর হাসপাতালে আনে তার অবস্হার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ময়মনসিংহ হতে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়।
বর্তমানে সামছুল হক পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছেন। এব্যাপারে মধুপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।এলাকাবাসী সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন।