আপাতত আমার সব ধ্যানজ্ঞান অভিনয়কে ঘিরেই। বলছিলেন খুলনার মেয়ে শেখ চাঁদনী । ছোট পর্দায় অভিনয় করা তরুন এই অভিনেত্রী আরও বলেন, মিডিয়ায় আমার শুরুটা হয়েছিল নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। তাই এই জায়গাতেই নিজের অবস্থানটা পাকাপোক্ত করতে চাই।
অভিনেত্রী চাঁদনী জানান, মা-বাবার আগ্রহে ছোটবেলা থেকে অভিনয় ও নাচের চর্চাসহ সংস্কৃতির নানা শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। তবে অভিনয়ের প্রতি ছিল আলাদা দুর্বলতা। প্রথমবার হাসান জাহাঙ্গীর পরিচালিত বৈশাখী টিভির মেগা সিরিয়াল ‘ফ্যামিলী ডিস্টেন্স’ প্রস্তাব আসে। পরিচালক ও ছিলেন পূর্বপরিচিত। অভিনয়ে রাজি হয়ে যান তিনি।
অভিনেত্রী চাঁদনী বলেন, অভিনয়ের প্রতি দুর্বলতা ছিল। তাই কাজটি হাতছাড়া করতে চাইনি। তা ছাড়া নিজের প্রতি একটা আত্মবিশ্বাস ছিল আমি পারব। সেই থেকে শুরু।
এরপর তিনি অনেক গুলো মেগা সিরিয়ালে কাজ করেছেন। হাসান জাহাঙ্গীরের ‘এন্ট্রি হিরো’। মেহেদী রনি পরিচালিত ‘হাত কড়া’। মেহেদী রনির ওভিসি। আলী সুজনের পরিচালিত ‘পালাকার’। জাহিদুল ইসলাম মিন্টু পরিচালিত ‘অক্টোপাস’। মুক্তাদির বিন সালাম পরিচালিত ‘গেম’ এবং নতুন করে শুরু করেছেন সৈয়দ রেফাত সিদ্দিকী ও শাহাদাত আলম ভূবন পরিচালিত ‘চিরকুমারী সংঘ’।
এছাড়াও তিনি একক নাটকের মধ্যে মোরশেদ সুমনের পরিচালিত ‘আবু বাবু’, ‘শাশুড়ী ভক্ত জামাই’, জয় সরকার পরিচালিত ‘প্রবাসীর আহাজারি’,ফজলুল সেলিম পরিচালিত ‘লাট সাহেবের মেয়ে’, আজিম খান পরিচালিত ‘দুষ্টু ছেলের দল’, আইয়ুব আলী খান পরিচালিত ‘স্বামী আমার দামী’, ‘বিয়ের দাবী’।
এদিকে আলী সুজন পরিচালিত ১০ টা শর্টফিল্ম। মাহফজুর রহমানের পরিচালিত মিউজিক্যাল ফিল্ম। আবার ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘ছায়া’ চলচ্চিত্রের বড় পর্দায় অভিষেকও হয় ।
নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিদিনই নাটক তৈরি হচ্ছে। পুরোনোদের দলে নতুন নতুন শিল্পীরা যোগ হচ্ছেন। ভালো কাজ করার মধ্য দিয়েই টিকে থাকতে হবে এখানে। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি। চাঁদনীর সেই চেষ্টা কতটা সফল হয় তা-ই এখন দেখার বিষয়।