কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সোমবার দুপুর ১২ঃ৩০ঘটিকায় উপজেলা সদরের চাকিরপশার ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণির গনিত বিষয়ের পাঠদান চলছিল। এসময় ঝিড়িঝিড়ি বৃষ্টি ও বজ্রের গর্জন শুরু হয়। আকস্মিক নবম শ্রেণির কক্ষের চালের উপর বজ্রপাতের বিকট শব্দে মাদরাসার আশপাশ প্রকম্পিত হয়ে উঠে। ওই কক্ষের বৈদ্যুতিক সুইচ পুড়ে যায় ও দূরে ছিটকে পড়ে। এতে বজ্রঘাতে ওই শ্রেণির ৬ জন ও অন্যন্য শ্রেণি কক্ষের ৩ জনসহ ৯ জন আহত হয়। শিক্ষার্থীদের চিৎকার ও কান্নায় ছুটে আসেন অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। পরে তারা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, ব্রজাঘাতে আহত ওই মাদরাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক, আলী রাজ, আফরোজা বেগম, নাজমিন নাহার, সানজিদা, রোকসানা, ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিনা বেগম ও নির্মা আক্তার এবং ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আহত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিনা, নির্মা আক্তার এবং ৯ম শ্রেণির রোকাসানা আক্তার জানান, হাত এবং পা গরমে পুড়ে যাচ্ছিল, এখনো যন্ত্রনা করছে এবং হাত পা গুটে যাচ্ছে ( কুকড়ে যাওয়া)।
গণিত শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন,কিছু বুঝে উঠার আগেই বজ্রের বিকট শব্দ ও আগুণের লেলিহান শিখায় ৯ শিক্ষার্থী আহত হয় এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
মাদরাসা সুপার মানিক মিয়া বলেন, ধারনা করা হচ্ছে ওই শ্রেণি কক্ষের আশেপাশেই বজ্রপাত হয়েছে, তারই আঘাতে এবং তাপদাহে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমি জরুরী বিভাগে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রস্তুত রেখেছিলাম এবং আহত ৯ শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা মাত্রই তাদের চিকিৎসা কাগর্যক্রম শুরু করেছি। তারা এখন আশংকামুক্ত আছেন।