দর্শনা কেরু,র চিনিকলের নিজস্ব পরিবহন ট্যাংক লরিতে বিভিন্ন মিল থেকে চিটাগুড় পরিবহনের মাধ্যমে কেরুতে আনার সময় ঈশ্বরদি ১২ মাইলে চিটগুড় চুরি করে বিক্রয় করে আসছিল ট্যাংক লরীর ৩ চালক। ক্রেতাদের কাছ থেকে ট্যাংক লরির চালকরা অগ্রিম টাকা নিয়ে চিটাগুড় না দিয়ে অন্য ক্রেতার নিকট বিক্রয় করলে এ নিয়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে চিনিকল কর্তৃপক্ষ চুক্তিভিত্তিক চালক হারুন, ইমতিয়াজ এবং আরিফ নামে ৩ জন চালককে কৈফিয়ত তলব করেছে। কেরুতে স্থায়ী চালকের অভাব না থাকলেও অনিয়মাতান্ত্রিক ভাবে চুক্তিভিত্তিক কিংবা মৌশুমি চালক দিয়ে কোটি কোটি টাকার মদ দেশের বিভিন্ন পণ্যাগারে প্রেরন করে বলে অভিযোগ আছে। আর এসব কাজে সহযোগিতা করে পরিবহন বিভাগের সিবিএ সদস্য মৌসুমি ট্রাক্টর চালক শরিফুল ইসলাম।শরীফুল ইসলাম মৌশুমি ট্রাক্টর চালক হলেও ক্ষমতার জোরে পরিবহন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সুপারভাইজারের পদ দখল করে রেখেছে। আর এই পদে থেকেই তিনি কামাচ্ছেন অবৈধ টাকা। চিটাগুড় চুরি করে বিক্রয়ের সাথে জড়িত চুক্তিভিত্তিক মৌশুমি চালক ইমতিয়াজ শরিফুলের নিকট আত্নীয়। আর এসব টাকার ভাগ শরিফুল পেয়ে থাকে বলে জানা গেছে।অভিযুক্ত ৩ চালককে কৈফিয়ত তলব করেছে কেরু প্রশাসন।। এই বিষয়ে কেরু,র ব্যবস্হাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দোষি হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।