মশা নিধনে কাজ করে যাচ্ছে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভা। মশার উপদ্রবের ফলে কষ্ট পেতে না হয় সেই জন্য বিরামপুর পৌরসভার স্বনামধন্য ও সুযোগ্য নগরপিতা পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলীর নির্দেশে ফগার মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করা হয়।
এছাড়া মশার বংশ বিস্তার রোধে খাল, ড্রেন, ডোবা-নালা, নর্দমা ১৫ দিন পরপর পরিস্কার করা হয়। তবে পৌরবাসী তাদের বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পরামর্শ দেন বিরামপুর পৌরসভার মেয়র ।
জানা যায়, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ নানা ধরনের মশাবাহী রোগ রয়েছে। বিরামপুর পৌরসভা ৯ টি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন ও লার্ভা স্প্রের মাধ্যমে মশা নিধনে কাজ করে থাকে। ফগার মেশিন দিয়ে পাড়া মহল্লার অলিগলি ও ড্রেনের ঢাকনা তুলে মশার বংশ বিস্তার রোধে লার্ভা স্প্রে ব্যবহার করা হয়।
বিরামপুর পৌরসভার কঞ্জারভেন্সী ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে আমাদের ৬টি ফোগার মেশিন ও ৪ টি লার্ভা স্প্রে মেশিন রয়েছে। ড্রেনের ঢাকনা তুলে ময়লা পরিস্কার করার পর লার্ভা স্প্রেটি ব্যবহার করা হয়। এই দুই কার্যক্রমে আমাদের শ্রমিক কাজ করছে।
পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জুয়েল মিয়া বলেন, মশা নিধনের জন্য ৪ জনের একটি টিম বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিত্তিক পর্যায়ক্রমে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে ওষুধ দিয়ে থাকেন। মশা নিধনের জন্য দুইটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। একটি হচ্ছে মশার ডিম ধংসকারী লাভা ওষুধ, অন্যটি মশা মরার ওষুধ টিপসি লিকুয়েড। মশা এবং মশার ডিম নিধনের জন্য এই দুটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী পৌরবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন আপনারা আপনাদের বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং প্রয়োজনে পৌরসভার সহযোগিতা নিবেন।