পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গ্রাম্য আদালত চলাকালে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সামনে চেয়ারম্যানের ভাগ্নেসহ চারজনকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৬.০৭.২৩ইং তারিখ রোজ রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ৯নং নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে এঘটনা ঘটেছে। সাইফুল ইসলাম ওরফে মাসুদ নামের এক যুবক ৫-৬ জন লোক নিয়ে এ হামলা করেন। তবে মাসুদ মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন সামান্য হাতাহাতি হয়েছে।
জানা গেছে, নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডে সাধারন সদস্যর শূণ্য পদে উপ-নির্বাচনে ৫জন প্রাথর্ী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। চেয়ারম্যানের ভাগিনা হাসান মোরগ প্রতীকের প্রার্থী সাইদুর রহমান লিখনের পক্ষে ও মাসুদ ঘড়ি প্রতীকের সোহাগ ফরাজির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। শনিবার ঘড়ি প্রতীকের এক সমর্থককে হুমকি দেয়া নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ওই ঘটনার জের ধরে মাসুদ সওদাগর ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে গ্রাম্য আদালত চলাকালে চেয়ারম্যানের ভাগিনা হাসানকেসহ রাসেল মৃধা, মিরাজ ও স্বপন মৃধাকেও মারধর করেন।
এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম ওরফে মাসুদ বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ভাগিনা হাসান মামার প্রভাব দেখিয়ে ঘড়ি প্রতীকের এক সমর্থকে প্রকাশ্য লাঞ্ছিত করেন। আমি বিষয়টি জানতে হাসানকে মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর আমি রবিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে হাসান আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এসময় তার সাথে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে।
এবিষয়ে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন, ‘গ্রাম আদালতে বিচারকার্য চলছিল। এমন সময় মাসুদ তার বাহিনী নিয়ে আদালত কক্ষে ঢুকে হামলা করে। আমার ভাগিনাসহ ৪/৫জন মারধর করে আহত করে। পরে উপস্থিত লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’