মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের ভাই ছালিক বক্স কর্তৃক সংখ্যালঘু নারী ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে।
অবশেষে ভুক্তভোগী নারীর মামলা দায়ের।
মামলা কপি
তবে এখনও অপরাধীদের কুলাউড়া থানা-পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা,অপরাধীদের চক্র মামলার মোড় ঘুরানোর চেষ্টা চালিয়ে পার পেয়ে যাবে।
ছবিতে তিন অপরাধী,যারা সংখ্যালঘু নারীকে ধর্ষণ করে,ভিডিও ধারণ করেছিলো।
গত ২৯ জুন’২৩খ্রি. বৃহস্পতিবার ঈদুল আযহার দিনে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসে গ্যাং রেপ-এর শিকার হন এক হিন্দু নারী।
বিষয়টি জানাজানি হলো একদল ধর্ষণকারীর পক্ষে কাজ করে।
এলাকাবাসি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানায়, ধর্ষণকারীরা স্থানীয় বর্তমান সরকার দলীয় যুবলীগের নেতা বলে কথা শুধু তাই নয় , ধর্ষণকারীরা ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি, সেই গ্যাং রেপের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে।
এরা সরকারি দলের নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে সরকাকে বিপদের মধ্যে পেলে। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এলাকাবাসীর দাবী,তবে এদের সাথে আরো একাধিক জড়িত থাকার অভিযোগ করলেন এলাকাবাসী।
মামলার কপি
সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে অসহায় ভুক্তভোগীর এক আত্মীয় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিডিও চিত্রটি প্রকাশ না করার শর্তে দফারফা করেন বলে ফেসবুকে প্রকাশ হয়।
পরবর্তীতে ধর্ষিতা নারী তার পরিবারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কুলাউড়া থানায় বাদী হয়ে ছালিক বক্সকে মূল আসামি করে তিন(৩) জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০২, তারিখ ০৩/০৭/ ২০২৩খ্রি.
ধারা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত/০৩)এর ৯(৩), তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(১)/৮(২)।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শ্রীমান সুদর্শন কুমার রায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, আসামি ধরার ব্যাপারে অভিযান চলমান আছে।
যেকোনো মুহূর্তেই আসামিদের গ্রেফতার করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে, যে কোন মুহূর্তে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রথম পর্ব ১