ছোট বণ্যপ্রাণী তক্ষক। নিরীহ এ প্রাণীটি অনেক দান ধরেই আলোচনায় সংবাদ মাধ্যমে।মহামুল্যবান
এ প্রাণীকে যেন রহস্যের শেষ নেই।কারো কাছে এটির দাম লাখ টাকা।কারো কাছে আবার কোটি টাকা
খুলনার দাকোপ উপজেলায় লাউডোব গ্রাম থেকে থানা পুলিশের অভিযানে নিষিদ্ধ বম্যপ্রানী তক্ষক বিক্রির সময় হাতে নাতে ১ জন আটক। আতপর সংঘবদ্ধ চক্রের ৩ জন সদস্য পালাতক রয়েছে।
দাকোপ থানা পুলিশ সুত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮জুলাই দিবাগত গভীর রাতে ৩ নং লাউডব ইউনিয়নে লাউডোব গ্রামের প্রফুল্ল কয়াল এর পুত্র মহিম কয়াল(৫০), জিনাদআলী শেখ এর পুত্র আকরাম শেখ (৪৮), নুরআলী শেখ এর পুত্র মাসুদ শেখ (২৮) ও মাসুদ শেখ এর স্ত্রী নাসমিন শেখ(২২) নামের একটি সংঘবদ্ধ চক্র লাউডোব পশ্চিম পাডা গ্রামের বাড়ীর পাশে ফাঁকা জায়গায় অবৈধভাবে নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী তক্ষক বিকিকি করছিল।
এমন সময় ঐ স্হানে হঠাৎ উপস্থিত হয় দাকোপ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক বিজয় কৃষ্ণ কর্মকার।, আজমীর হোসেন, সহ কনস্টেবল হেলালুর রহমান, মোল্লা নাইমুর,ও বিশ্বজিৎ এ পুলিশ ফোর্সের একটি চৌকুস দল। ঘটনা স্হলে থেকে নিষিদ্ধ একটি জীবিত ১৪. ৫ ইঞ্জি লম্বা তক্ষক সহ হাতেনাতে মহিম কয়ালকে আটক করে। পরে আকরাম, মাসুম, ও নাসমিন এ ৩ জন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালাতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে থানায় এসে ধৃত মহিম কয়াল কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পলাতক ঐ তিন জন আসামির নামে বলে তারা এ তক্ষক পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্যছিল।
থানায় একটি নিষিদ্ধ বন্যপ্রানী সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে ৪ জনকে আসামী করে ধৃত মহিম কয়ালকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে
এব্যাপারে দাকোপ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার দক্ত বলেন আসামী দের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে,। এ ধরণের অবৈধ পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে এমন ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।