পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় পুত্রবধূর নির্যাতনের শিকার হয়ে ক্ষোভে-দুঃখে বিষপান করে আত্মহত্মা করেছেন শ্বাশুড়ী। বাউফলের ১৩নং আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মধবপুর গ্রামের মাখম সাজ্জাল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ০৬.০৭.২৩ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার বগা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।
মৃতের স্বামী মাখম সাজ্জাল(৬৫)অভিযোগ করেন, তিনি ও তার স্ত্রী চুরা রানী (৫৫), ছেলে মাধব সাজ্জাল (৩৫) পুত্রবধূ শিখা রানী (২৭) ও নাতি মাধবী (৮) একই ঘরে আলাদা বসবাস করেন। ঘরের মধ্যে পাটিশন করা। ঘটনার দিন বুধবার (৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকেতার স্ত্রী চুরা রানী তার পুত্রবধূ শিখার কাছে কিছু চাল ও ডাল চান রান্না করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু পুত্রবধূ চাল-ডাল দিতে রাজি না হওয়ায় এ নিয়ে পুত্রবধূ ও তার শ্বাশুড়ীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি চলাকালে পুত্র মাধব সাজ্জাল এসে মায়ের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে পুত্র ও পুত্রবধূ তার স্ত্রী চুনা রানীকে মারধর করেন। তিনি ওই সময় (মাখম সাজ্জাল) ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করলে তাকেও পুত্র ও পুত্রবধূ মারধর করেন। এ ঝগড়াঝাটি চলে রাত ১০টা-সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত। এরপর তিনি তার স্ত্রী চুরা রানীকে নিয়ে ঘরে চলে যান। রাত ১টার দিকে ক্ষোভে দুঃখে তার স্ত্রী চুনা রানী বিষপান করেন। রাত ৩ টার দিকে তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সোয়েব বলেন,‘ চুনা রানীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ইসিসি করে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। তার মুখ থেকে গন্ধ আসছিল। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বিষপান করতে পারেন।’
এ ব্যাপারে বগা তদন্ত কেন্দ্রে ফোন দেয়া হলে এসআই বাদল কৃষ্ণ বলেন,‘ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে।’
কহিনুর বেগম
বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
০৬.০৭.২৩